পাবনার ভাঙ্গুড়ায় হিমেল হাওয়ার সঙ্গে শীতের তীব্রতা। শীতে জুবুথুবু মানুষ। কনকনে শীতে বাহারি রকমের পিঠার পাশাপাশি সিদ্ধ ডিমের চাহিদাও বেড়েছে কয়েক গুণ। তাই উপজেলার পৌর এলাকাসহ গ্রামগঞ্জের আনাচকানাচে, হাটবাজার, রাস্তার মোড়ে মোড়ে কিংবা পাড়া-মহল্লার দোকান গুলোতে সিদ্ধ ডিম বিক্রির ধুম পড়েছে। এদিকে বাড়তি আয়ের আশায় অনেকেই যুক্ত হয়েছেন মৌসুমি এই পেশায়। লেয়ার মুরগির ডিমের পর্যাপ্ততা থাকলেও শীতে ক্রেতাদের পছন্দ দেশি মুরগি কিংবা হাঁসের ডিম। দেশি ডিমের চাহিদা বেশি থাকায় দামও বেশ চড়া।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাঁসের ডিম সুস্বাদু হওয়ায় ৬০-৭০ টাকা হালিতে কিনে সিদ্ধ করে প্রতি পিস বিক্রি করছেন ২৫ টাকায়। এতে প্রত্যেকটি ডিমে লাভ হচ্ছে ৮-১০ টাকাদেশীয় জাতের মুরগির ডিম ৫০-৫৫ডিম টাকা হালিতে কিনে সিদ্ধ করে ২০ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি করছেন। এতে পতি পিস হাঁসের ডিমেও প্রায় ৭ টাকা লাভ হচ্ছে। অন্যদিকে লেয়ার মুরগির ডিম স্থানীয় ফার্ম থেকে ৪০-৪২ টাকা হালি দরে কিনে সিদ্ধ করে প্রতি পিস বিক্রি করছেন ১৫ টাকায়। এতে প্রতি পিস লেয়ার ডিমে লাভ হচ্ছে ৫ টাকা। এ মৌসুমি সিদ্ধ ডিম বিক্রেতাদের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী, দিনমজুর, রিকশা, অটোভ্যান চালক ও বৃদ্ধ লোকও রয়েছেন।
ভাঙ্গুড়া উপজেলার বাসস্ট্যান্ডের পাশে সিদ্ধ ডিম বিক্রেতা মো: আব্দুল আলিম (৫৫) বলেন, শীত শুরুর আগে থেকেই সিদ্ধ ডিম বিক্রি শুরু করেছি। এখন সিদ্ধ ডিমের প্রচুর চাহিদা। বিকেল চারটা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ডিম খাওয়ার কাস্টমারের অনেক ভীড় থাকে। এসময়ে ১৮০ থেকে ২২০টি ডিম পর্যন্ত বিক্রি করতে পারি। যেদিন ডিম কম বিক্রি হয় সেদিন লাভ কম হয়। বেশি বিক্রি হলে গড়ে প্রতি পিচ ডিমে ৮-১০ টাকার লাভ হয়। এতে ডিম সিদ্ধ করতে গ্যাস খরচ, বিদ্যুৎ খরচসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক খরচ বাদে দৈনিক ১০০০ থেকে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত লাভ হচ্ছে।
তার দোকানে ডিম খাচ্ছিলেন মাসুদ রানা নামের এক যুবক। তিনি জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যায় তিনি সিদ্ধ ডিম খান। এটি একদিকে পেট ভরায়, আরেক দিকে স্বাস্থ্যকর।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্তকর্তা ডা. হালিমা খানম বলেন, পুষ্টি চাহিদা পূরণে ডিমের জুড়ি নেই। শীত এলে অনেকে সিদ্ধ ডিম খেয়ে থাকেন। সিদ্ধ ডিমের মধ্যে নানা ধরনের উপকারিতা রয়েছে। সিদ্ধ ডিমের ক্যালরি মোটামুটি কম। এতে প্রচুর পুষ্টি, প্রোটিন, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। তাই যেকোনো বয়সী মানুষের উচিত প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডিম খাওয়া।