শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:১২ অপরাহ্ন

ই-পেপার

ভাঙ্গুড়ায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কালিমাতা মন্দিরের অর্ধশত বিঘা সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: বুধবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪, ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অশোক কুমার ঘোষ প্রনো (৬৫) এর বিরুদ্ধে দিলপাশার কালিমাতা মন্দিরের কয়েকটি পুকুরসহ ৫২ বিঘা জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। প্রণো দিলপাশার ইউনয়িনের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দিলপাশার গ্রামের মৃত নরেন্দ্রনাথ ঘোষের ছেলে। রবিবার (২৮জানুয়ারি) এর প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় সদগোপ যাদব সমিতি (কালিমাতা মন্দির) এর পক্ষ থেকে ২৭ জন স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরাফাত হোসেন বরাবরে জমা দিয়েছেন। পাশাপাশি স্থানীয় সংসদ সদস্য, সহকারি কমিশনার (ভুমি), ভাঙ্গুড়া থানার ওসি ও উপজেলা আওমীলীগের সাধারণ সম্পাদককে অনুলীপি দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্রী অশোক কুমার ঘোষ প্রণো তার সহোদর তপন কুমার ঘোষ কালা ও ধীরেন্দ্রনাথ ঘোষের ছেলে সুভাষ চন্দ্র ঘোষ তিন জন মিলে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়কে ভায়ভীতি দেখিয়ে নিজস্ব আত্মীয় স্বজনের নাম মাত্র কমিটি করে দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ ৫২ বিঘা সম্পত্তি জোর পূর্বক ভোগ দখল করে আসছেন। পাশাপাশি ওই মন্দিরের দুইটি কষ্টিপাথারের মুর্তির হদিস নেই এবং এত সম্পত্তি থাকা সত্বেও মন্দিরটি রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায়-অযতœ ও গরুর গোবর রেখে নুংরা করে রেখেছে মর্মে অভিযোগে উল্লেখ করেন। পূর্বে ও বর্তমানে তারা তিন জন মিলে উক্ত সম্পত্তির অনেকাংশই ও কালিমাতার কষ্টিপাথরের দুইটি মূর্তি বিক্রি করেছেন। এখন সমিতির সদস্যরা তাদের তিন জনের কাছে সম্পত্তির হিসাব চাইলে তারা বলেন, সম্পত্তি আমাদের নামে তোমাদের কেন আমরা হিসাব দিব। জামির দলিল দেখদে চাইলে তারা কমিটির সদস্যসহ হিন্দু সমাজের সাধারণ জনগণকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, প্রাণোরা মন্দিরের সম্পত্তি ৪০ বছরর ধরে ভোগ-দখল করে কঢেল টাকার পাহাড় গড়েছেন। মন্দিরের এই সম্পত্তির বিষয়ে থানায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট কেউ অভিযোগ দিলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছেন এই প্রণো।

অভিযোগের বিষয়ে অশোক কুমার ঘোষ প্রণো বলেন, আমি দিলপাশার কালিমাতা মন্দিরের সভাপতি। মন্দিরটিতে কষ্টি পাথরের মুর্তি কখনোই ছিল না। বর্তমানে পুকুরসহ ১৫ বিঘা জমি আছে। তবে কালী মন্দিরে গোবর রাখা অন্যায় হয়েছে। এর বাইরে যা বলেছে সব মিথ্যা বলেছে।

ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজমুল হক বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরাফাত হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তধীন রছেয়ে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর