থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) রুমে ঢুকতে লাগবে না অনুমতি, ডাকতে হবে না স্যার। একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে সাধারণ মানুষের সেবায় জনগণের কাছে নিজেই এগিয়ে এসেছেন তিনি। সরাসরি শুনছেন অভিযোগ। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে দিচ্ছেন আইনি সহায়তা। বলা হচ্ছে পাবনার বেড়া মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলহাজ্ব মো. রাশিদুল ইসলামে কথা। সাধারণ মানুষের আইনি সেবা নিশ্চিত করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করছেন নবাগত এই ওসি।
তিনি গত ৯ ডিসেম্বর যোগদানের পর থেকেই বেড়া পৌর এলাকাসহ চারটি ইউনিয়নের বিভিন্ন মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কিভাবে বাল্যবিবাহ, মাদক, জঙ্গি, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি এবং অনিয়ম রোধে কি কি সফলতা পাওয়া যাবে এ বিষয়ে মতবিনিময় আলোচনা করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই যারা তাদের প্রয়োজনে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন এমন একাধিক ব্যক্তি জানান, বেড়া মডেল থানার নবাগত ওসি আলহাজ্ব মো. রাশিদুল ইসলামের আচরণে আমরা মুগ্ধ, তিনি একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার কক্ষে ঢুকতে লাগে না অনুমতি, ডাকতে হয় না স্যার, তার সঙ্গে কথা বলতে কোনো অনুমতি লাগে না।
জানা যায়, ওসি যে কোনো ঘটনায় তাৎক্ষণিক সাড়া দিচ্ছেন এলাকাবাসীর ডাকে। বাল্যবিবাহ রোধ, মাদক পাচার, গরু চুরি বন্ধ এবং চোরাই ফোন উদ্ধারসহ নানা অপরাধমূলক কাজে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণে বেশ প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে ছুটে বেড়াচ্ছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সাধারণ মানুষকে নিয়ে সচেতনতামূলক মতবিনিময় ও বিট পুলিশিং সভার আয়োজন করছেন তিনি। বেড়া থানায় যোগদানের পরই সাহসিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে এলাকায় চোর, ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ী আটকসহ সাধারণ মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে বেড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলহাজ্ব মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে বেড়া থানা এলাকার আইন-শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। বাল্যবিবাহ, কিশোর গ্যাং, মাদক ও চোর-ডাকাত মুক্ত করাই আমাদের পরিকল্পনা।
তিনি আরও বলেন, এই এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুন্দর রাখতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সমাজকর্মী এবং সাংবাদিকদের সহযোগিতা সব সময় কাম্য।
উল্লেখ্য, এর আগে ওসি আলহাজ্ব মো. রাশিদুল ইসলাম পাবনার ভাঙ্গুড়া থানায় দীর্ঘ ১৩ মাস কর্মরত ছিলেন। সেখানেও তিনি অত্যন্ত দায়িত্বশীলের সাথে মানুষের মাঝে সেবা প্রদান করে বেশ সুনাম অর্জন করেছিলেন।