নাটোরের বড়াইগ্রামে সোনিয়া বেগম (২৯) নামের এক গৃহবধূর হাত-পা বেধে পানিতে ফেলে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সন্ধার পরে উপজেলা সদর ইউয়িনে শ্রীরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নির্যাতনের অভিযোগে গৃহবধূর দেবর দুলাল হোসেন বাদী হয়ে শনিবার রাতে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেছেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোনিয়া বেগম শ্রীরামপুর সরকার পাড়া গ্রামে ফারুখ মোল্লার স্ত্রী।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মনির হোসেনের স্ত্রী মমেনা বেগম (৪৫), হুমায়নের স্ত্রী মেহনাজ বেগম (৪০) ও ভাষানের স্ত্রী কদরী বেগম (৪২)।
নির্যাতনে স্বীকার সোনিয়া বেগম বলেন, অভিযুক্তরা আমার প্রতিবেশী। তাদের সাথে পারিবারিক ভাবে অনেক দিনের দ্বন্দ আছে। শ্রীরামপুর গ্রামের রাস্তার পাশে মাচা করে সবজির চাষাবাদ করে মমেনা বেগম। সেই রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন গাড়ী চলাচল করার সময় মাঝে মাঝেই সবজির গাছ নষ্ট হয়ে যায়। আমি সেই গাছ কেটে নষ্ট করেছি সন্দেহ করে অশ্লীল ভাষায় আমাকে গালিগালাজ করে মমেনা বেগম। আমি নিশেধ করলে গত মঙ্গলবার (৮ই জানুয়ারী) আমাকে মারপিট করে। ৩ দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে চিকিৎসা শেষে শুক্রবার বাড়ি চলে যাই।
তিনি আরো বলেন, শনিবার রাতে আমার বাড়ির টিউবয়েলে পানি আনতে যাই। আগের ঘটনার সুত্র ধরে তারা অন্ধকারে আমার বাড়ির ভিতরে ঢুকে আমাকে মুখের মধ্যে ঔড়ণা ঢুকিয়ে হাত-পা বেধে মারপিট করে। মারপিটের এক পর্যায়ে পাশে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। আমার মেয়ে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
অভিযুক্ত মেহনাজ বেগমের স্বামী হুমায়ন আলী বলেন, আমার স্ত্রী এর সাথে জড়িত নাই। অন্যায় ভাবে তাকে ফাসানো হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আযম বলেন, নির্যাতনের ঘটনায় গৃহবধূর দেবর থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলা হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার তাঁদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।