শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন

ই-পেপার

চলনবিলে কনকনে শীতে বিপর্যস্ত শিশু ও বৃদ্ধ

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: শনিবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৪, ১০:৫০ অপরাহ্ণ

উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা পড়েছে চাটমোহরসহ চলনবিল অধ্যুষিত এলাকা। এ অঞ্চলে পৌষের শীত আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত শিশু ও বৃদ্ধ মানুষ। চলনবিল অঞ্চলে ভারি শীত ও ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে। ভারি শৈত্য প্রবাহের কারণে ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে ঠান্ডা বেড়েই চলছে। ভোরের গাঢ় কুয়াশায় সূর্যের দেখা মিলছে না।
গত কয়েকদিন ঠিকমত সূর্যের দেখা মেলেনি চলনবিল অঞ্চলে। বেড়েছে সকাল-সন্ধ্যায় ঘন কুয়াশা। সড়কে রাত ও ভোরে গাড়ি চালাতে হচ্ছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। খেটে খাওয়া বিপর্যস্ত মানুষেরা কোনো মতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টায় দিন পার করছেন।

পৌষের শেষে হাড় কাঁপানো শীত জেঁকে বসেছে। এই কনকনে শীতে বেড়েছে গবিবের ফুটপাতের দোকান গুলোতে গড়ম কাপড় বিক্রি। গরিব অসহায় মানুষগুলো ফুটপাত থেকে কম দামে শীতের গড়ম কাপড় কিনে শীত নিবারণ করছেন। এদিকে ভ্রাম্যমান শীতবস্ত্র বিক্রেতাদের দেখা যাচ্ছে পাড়া মহল্লায় বিক্রি করতে।

চলনবিল অধ্যুষিত চাটমোহরে শীতের প্রকোপ বাড়ার কারণে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রাস্তা-ঘাট। কুয়াশায় ভিজে যাচ্ছে মাঠ-ঘাট। ঘন কুয়াশায় দিনের বেলাতেই আঁধার নেমে আসে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ছিন্নমূল মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এখনই সময় বলে মনে করেন হতদরিদ্ররা। এই শীতে বেশি মুশকিলে পড়েছে চলনবিল অঞ্চলের অসহায় পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধরা। এ শীতে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রার্দুভাবও বেড়ে যাচ্ছে।

পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী মোঃ হেলাল উদ্দিন জানান, পাবনা, ঈশ্বরদী ও চাটমোরে শনিবার সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা এ বছরের সর্ব নিম্ন তাপমাত্র। চাটমোহর সহ জেলার উপর দিয়ে ভারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনের ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যেই উঠানামা করবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর