কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকে পঞ্চমবারের মতো জয়ী হয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রবিবার অনুষ্ঠিত ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তুলনায় বিপুল ভোটে জয় পান তিনি। এর আগে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মো. তাজুল ইসলাম এই আসন থেকে চারবার সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন।
কুমিল্লা-৯ আসনে ভোটকেন্দ্র ১২৬টি। এর মধ্যে মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ৬০টি এবং লাকসাম উপজেলায় ৬৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়। এসব কেন্দ্রে গড় ভোট পড়েছে প্রায় ৫৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
রবিবার রাত ১০টার দিকে পাওয়া ফলাফলে দুই উপজেলা মিলিয়ে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এর মধ্যে মনোহরগঞ্জে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৭১ ও লাকসামে ১ লাখ ২২ হাজার ৪৭৫ ভোট পান তিনি। এদিকে তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী চেয়ার প্রতীকে মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক পেয়েছেন ৮ হাজার ২৬০ ভোট।
রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার এ মালেক ইনস্টিটিউটে (রেলওয়ে উচ্চবিদ্যালয়) ভোট দেন মো. তাজুল ইসলাম। এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় সপরিবারে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন তিনি। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে ষষ্ঠবারের মতো প্রার্থী হয়েছেন মো. তাজুল ইসলাম। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি।
এর আগে ১৯৯৬ সালে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে প্রথমবারের মতো কুমিল্লা-৯ আসনে সংসদ সদস্য হন মো. তাজুল ইসলাম। পরে ২০০১ সালে অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি। তবে ২০০৮ সালে আবারও বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন মো. তাজুল ইসলাম। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ এবং ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন তিনি।
এদিকে ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। রাজনীতির পাশাপাশি মো. তাজুল ইসলাম ফেবিয়ান গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজসহ ২০টি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। তিনি যমুনা ব্যাংকসহ ২টি বেসরকারি ব্যাংক পরিচালনা করছেন। প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার প্রকাশক তিনি। এ ছাড়া নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
মো. তাজুল ইসলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে মার্কেটিং এবং ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস স্কুল অব স্ক্যান্ডিনেভিয়া থেকে ফিন্যান্সে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশাগত প্রয়োজনে এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন।