রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শাহজাদপুরে ভিক্ষুকদের ছাগল বিতরণেও  অনিয়মের অভিযোগ

সুজন খান, শাহজাদপুর(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৯:১৭ অপরাহ্ণ

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের “ভিক্ষুক পূনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান” শীর্ষক কর্মসূচির আত্ততায় ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা সহ ১৪ জন ভিক্ষুকের মাঝে ৪২টি ছাগল ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার(১১ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ছাগল বিতারণ আনুষ্ঠান শেষে উপকারভোগীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ ভিক্ষুকদের ছাগল ক্রয়ে নয়-ছয় করার অভিযোগ তুলেন।
জানা যায়, প্রকল্পের আওতায় উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের অনুকূলে ২ লাক্ষ ৮৬ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। বরাদ্দের মধ্যে প্রতি ভিক্ষুক পরিবারকে তিনটি করে ছাগল দেয়ার পরিপত্র আসে। উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় ছাগল ক্রয় করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সোমবার সকালে তা বিতরণ করেন। বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর মোঃ আজাদ রহমান।
তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, ৪২ টি ছাগল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নামে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৬’শ ৩০টাকা দিয়ে ক্রয় করা হয়েছে। এবং এর পিছনে খাজনা, পরিবহন, খাবার, ব্যনার অন্যানো বাদব আরও খরচ দেখিয়েছে ১০ হাজার টাকা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠান স্থলেই বিতরণের জন্য ছোট আকারের ছাগলগুলোকে একসাথে বেঁধে রাখা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কসাইসহ একাধিক শ্রেণী পেশার মানুষ জানান, অর্ধেকের বেশি ছাগল ৩০০০-৩৫০০ হাজার টাকা দাম হবে আর বাদ-বাকি ছাগল ৪০০০-৪৫০০ হাজার দুই একটা ছাগল সবর্চ্চ ৬ হাজার টাকা হতে পরে। এসব দেখে ছাগল নিতে আসা উপস্থিত উপকারভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এবিষয়ে অনেকেই বলেন এত টাকা বরাদ্দ থাকলে তা দিয়ে অনেক ভালো মানের ছাগল দেওয়া সম্ভব ছিলো।
এদিকে ছাগল ক্রয়ের তালিকায় দেখা যায় কিছু ছাগলের দাম ৯ থেকে ১০ হাজার টাকাও দেখানো হয়েছে যদি ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার উপরের ছাগল বিতরণের সময় দেখা যায়নি। এমনকি একটি ছাগলের দাম ১০হাজার ৮’শ টাকাও দেখানো হয়েছে।
এবিষয়ে সমাজসেবা অফিসার ছাগল ক্রয়ে অনিয়মের কথা অস্বীকার করে মোঃ মকবুল হোসেন জানান, কিছু টাকা আমাদের বেচে গেছে এবং আমার ক্রয় কমিটি যে দামে কিনেছে তার বাহিরে কিছু বলতে পারবো না।
অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান জানান, ভিক্ষুদের ছাগল ক্রয়ের ক্ষেত্রে যদি এমন হয়ে তাকে তা খুবই দুঃখজনক। আমাকে এখনো ক্রয়ের হিসাব দেয়নি। যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, অবশ্যই তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর