শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
নাগরপুরে জামায়াতে ইসলামী’র ইউনিয়ন ভিত্তিক নির্বাচনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গুড়ায় তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেও তথ্য না পাওয়ার অভিযোগ ইউএনও’র বিরুদ্ধে জকিগঞ্জে এইচসিআই’র উদ্যোগে আধুনিক মাদরাসার উদ্বোধন ও ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প যথাযোগ্য মর্যাদায় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ এর ৫৪তম শাহাদত বার্ষিকী পালন করলো বিজিবি ঈশ্বরদীতে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ভাঙ্গুড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে শোকজ ঘিরে বিতর্ক সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও বিতর্কিত ওসিকে প্রত্যারের দাবিতে সাংবাদিকদের  মানববন্ধন লামায় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মোবাইল কোর্ট অভিযান 

টাঙ্গাইল-২ ; আওয়ামী লীগে বিভক্তি, নির্দলীয় সরকার চায় বিএনপি, প্রার্থীতা জানান দিচ্ছে জাতীয় পার্টি, সিপিবি

মোঃ নুর আলম, গোপালপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি: 
আপডেট সময়: রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩, ১২:১৯ অপরাহ্ণ

জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা ১৩১ টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর)  ঐতিহ্যগতভাবে, রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনী আসন। এরশাদ সরকারের আমলে একবার ছাড়া সব নির্বাচনেই ক্ষমতাসীন সরকার নিজ দলীয় সংসদ সদস্য পেয়েছে এই আসনে। গোপালপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভা এবং ভূঞাপূর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই আসন ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই আসনে রাজনীতির হাওয়া পরিবর্তন ও নানা রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হচ্ছে। সরকার দলীয় আওয়ামী লীগে তৈরি হয়েছে নানা বিভক্তি।
এবার এই আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি,সিপিবি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাম্ভব্য প্রার্থীরা নিজেদের প্রার্থীতা জানান দিতে শুরু করলেও, বিএনপি মনোযোগ রয়েছে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবির আন্দোলন নিয়ে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির প্রবাস থেকে ফিরে টাঙ্গাইলের বহুল আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার আসামি সাবেক এমপি রানাসহ তার ভাইদের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে প্রথমে আলোচনায় আসেন। এরপর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিগোচর হলে বিগত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন।
সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধি এবং আওয়ামী লীগের যুবক ও তরুণ নেতা,কর্মীদের সাথে নিয়ে উঠান বৈঠকসহ বিভিন্নভাবে প্রচারনা করতে দেখা গেছে তাকে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি ইতিমধ্যেই তার জামাতা ছোট মনিরের পক্ষে অত্র নির্বাচনী এলাকায় একাধিক সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। এমপি ছোট মনিরের পক্ষের সমর্থকরা বিশ্বাস করেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এই নেতার প্রভাব ও নিজের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডই আবারো মনোনয়ন নিশ্চিত করবে ছোট মনির।
ছোট মনির এমপি জানান, দুঃখী মানুষের সেবা করতেই প্রবাস থেকে দেশে ফিরে এমপি প্রার্থী হয়েছিলাম, আমি সহ আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেও একের পর এক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমার সময়ে এলাকায় ৩হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে, তাই কোন ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না। নির্বাচন শুরু হলে সব কোন্দল নিরসন হবে। সকলে মিলে নৌকাকে বিজয় করার জন্য কাজ করবে। আওয়ামী লীগ একটি সুপ্রাচীণ ও বৃহৎ দল। এ দল থেকে অনেকেই মনোনয়ন চাইতে পারেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবেন তিনিও তার পক্ষেই কাজ করবেন।
গোপালপুর উপজেলা পরিষদের পদত্যাগী চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু ও ভূঞাপুর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক একই মঞ্চে সভা সমাবেশে চালাচ্ছেন প্রচারণা।  বর্তমান ও সাবেক জনপ্রতিনিধিদের এবং ত্যাগী নেতা কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন সমাবেশ ও উঠান বৈঠকে প্রচারনা করতে দেখা গেছে।
ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু এর আগেও এমপি পদে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে পাননি। এবার তিনি দলীয় মনোনয়ন পেতে আগেভাগেই  উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করছেন। দলের দুঃসময়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগে তার অবদান রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
গোপালপুর উপজেলার চেয়ারম্যান ইউনুস তালুকদার ঠান্ডু বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকাকালীন সময়ে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছি, আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে নেতা কর্মীদের পাশে থেকেছি। তাই আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের অনুরোধে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে এমপি পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এবারও এমপি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবো, আশা করি বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূলের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে আমাকে মনোনয়ন দিবেন।
মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, আমরা উন্নয়নে বিশ্বাসী, সরকার অনেক উন্নয়ন করেছে কিন্তু বর্তমান সংসদ সদস্য এই আসনে কোন উন্নয়ন করে নাই।তাই বর্তমান সংসদ সদস্যকে বাদ দিয়ে যাকে মনোনয়ন দিবে দল, তাকেই আমরা জয়ী করবো। আমি প্রার্থী হয়েছি জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এবং গোপালপুর ভুঞাপুর উপজেলার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে।
বাংলাদেশ সরকারের প্রথম অর্থ সচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আসাদুজ্জামানের পুত্র খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেলকেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা, কর্মীদের সাথে নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারনা করতে দেখা যাচ্ছে।
রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের সভাপতি খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল মূলত একজন ব্যবসায়ী। বিগত কয়েকমাস যাবৎ এলাকায় নিয়মিত উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অপরাজিতা হক তার সহোদর বোন এবং ৭১ টেলিভিশনের কর্নধার মোজাম্মেল বাবু তার ভগ্নিপতি।
খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল বলেন, গতবার নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছিলো কিন্তু একটি কুচক্রী মহল ষড়ষন্ত্র করে তা বাতিল করে। এবার শতভাগ আশাবাদী নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আশরাফউজ্জামান স্মৃতিও এই আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইতে পারেন।
খন্দকার আশরাফউজ্জামান স্মৃতি বলেন, এ আসনে আমি দীর্ঘ দিন কাজ করে দলকে সংগঠিত করেছি। দল থেকে আমি মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমি বিজয়ী হবো।
১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী শামসুল হক তালুকদার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন বলে বিশ্বাস করেন। সে লক্ষে স্থানীয় পর্যায়ে বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রচারনা চালাচ্ছেন।
এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বিভক্ত চরমে পৌঁছেছে। আধিপত্য বিস্তার ও বালুর ঘাট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থীর মধ্যে দ্বন্দ্ব লক্ষ্য করা গেছে। প্রত্যেক প্রার্থী দলের মধ্যে নিজস্ব লোকবল তৈরিতে ব্যস্ত বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ কর্মীরা।
প্রত্যেক প্রার্থী নিজেকে জনসাধারনের মধ্যে বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করছেন। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ শহর, গ্রাম ও প্রত্যান্তঞ্চলে প্রার্থীরা ব্যানার, বিলবোর্ড ও বিভিন্ন মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। পাশাপশি ক্লাব, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে আর্থিক অনুদান দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় এ আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর মৃত্যুদন্ডাদেশ হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, বিএনপি নির্বাচনে এলে সালাম পিন্টুর ছোট ভাই কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি  সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বিএনপির একক প্রার্থী হতে পারেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
গোপালপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, নির্দলীয় সরকার ছাড়া দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। যদি নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা হয়,দল নির্বাচনে এলে আমাদের দলের একক প্রার্থী হবেন জাতীয়তাবাদী যুব দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেন খানের নাম শোনা যাচ্ছে। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজিজ বাঙ্গালের নামও শোনা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেন খান বলেন,আমি এই আসনে দীর্ঘদিন ধরে প্রচারণা চালাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ জনগণ আমাদের পাশে আছে।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজিজ বাঙ্গাল বলেন, জাতীয় পার্টিতে এই আসনে কোন কোন্দল নেই,তাই আমরা শতভাগ আশাবাদী এই আসনে এবার জাতীয় পার্টি বিজয়ী হবে। কারণ আওয়ামীলীগের নেতাদের মাঝে যে কোন্দল রয়েছে তার সুবিধা আমরা জাতীয়পার্টি পাবো ।
এই আসনে কখনোই কোনো একক দলের আধিপত্য দেখা যায়নি। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিগত ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে পাঁচ বার আওয়ামী লীগ, চার বার বিএনপি, এক বার করে জাতীয় পার্টি ও জাসদের (সিরাজ) প্রার্থী জয় লাভ করেন।
জানা যায়, ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. হাতেম আলী তালুকদার ন্যাশনাল আওয়ামী লীগ পার্টির মো. হাতেম আলী খানকে পরাজিত করেন। ১৯৭৯ সালে বিএনপি প্রার্থী আফাজ উদ্দিন ফকির জয় লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী  ছিলেন আওয়ামী লীগের মো. হাতেম আলী তালুকদার। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামছুল হক তালুকদার ছানু আওয়ামী লীগের মো. হাতেম আলী তালুকদারকে পরাজিত করেন। ১৯৮৮ সালে নির্বাচিত হন জাসদের (সিরাজ) আ. মতিন হিরু। তিনি হারান জাতীয় পার্টির শামছুল হক তালুকদার ছানুকে। এরশাদের পতনের পর গণতন্ত্র-উত্তর প্রথম ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ) নির্বাচনে বিএনপির আব্দুস সালাম পিন্টু আওয়ামী লীগের হাতেম আলী তালুকদারকে পরাজিত করেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে বিএনপির আব্দুস সালাম পিন্টু পুনরায় এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি হেরে যান আওয়ামী লীগ প্রার্থী খন্দকার আসাদুজ্জামানের কাছে। ২০০১ সালে বিএনপি পুনরুদ্ধার করে আসনটি। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী খন্দকার আসাদুজ্জামানকে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে তৃতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন আব্দুস সালাম পিন্টু। তিনি পান এক লাখ ৫ হাজার ২৭৩ ভোট, আর খন্দকার আসাদুজ্জামান পান এক লাখ দুই হাজার ৯৯৯ ভোট। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাল্লা ঘুরে খন্দকার আসাদুজ্জামানের দিকে। দ্বিতীয় বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন তিনি। আব্দুস সালাম পিন্টু ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় কারাগারে থাকায় তার ছোট ভাই সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। খন্দকার আসাদুজ্জামান (আওয়ামী লীগ) পান এক লাখ ৪৪ হাজার ৭১০ ভোট, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু (বিএনপি) পান এক লাখ ৩ হাজার ৫০৯ ভোট। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী খন্দকার আসাদুজ্জামান ও জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) আব্দুল আজিজের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। তৃতীয় বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন খন্দকার আসাদুজ্জামান। এতে খন্দকার আসাদুজ্জামান পান এক লাখ ৪০ হাজার ৭৫৯ ভোট এবং আব্দুল আজিজ পান ৪ হাজার ২৯৬ ভোট। এরপর ২০১৮সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খন্দকার আসাদুজ্জামানের ছেলে খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল দলীয় মনোনয়ন চেয়েও পাননি। তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ছোট মনির আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান। বিএনপি প্রার্থী তৎকালীন জাতীয়তাবাদী যুব দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে পরাজিত করে ছোট মনির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, এ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৯৪ হাজার ৩৯৭ জন । এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৯৮ হাজার ৪৩৮ জন ও নারী এক লাখ ৯৫ হাজার ৯৫৭জন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর