সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা জকিগঞ্জের গণিপুরে আল হাবিব লতিফিয়া কমপ্লেক্স-এর চতুর্থ তলার নির্মাণ কাজ সমাপ্তির পর আনুষ্ঠানিকভাবে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। একই দিন সেখানে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনাল (এইচসিআই)-এর অর্থায়নে এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুশীলন-এর বাস্তবায়নে পরিচালিত এ প্রকল্প থেকে প্রায় ৩৫০ জন শিক্ষার্থী আধুনিক ও মানসম্মত মাদরাসা শিক্ষা লাভের সুযোগ পাবেন।
মেডিক্যাল ক্যাম্পে প্রায় ২০০জনের বেশি মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ গ্রহণ করেন। এ সময় শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সেবা প্রদান করেন।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় আল হাবিব লতিফিয়া কমপ্লেক্স-এর মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সুশীলন কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে ভবনের চতুর্থ তলা মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর শেষে উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুশীলন লিমিটেড-এর উপ পরিচালক মোস্তফা বকলুজ্জামান, মনিটরিং অফিসার কাজী ফয়সাল কবির এবং প্রজেক্ট কো অর্ডিনেটর মো. আরিফ হোসেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আল হাবিব লতিফিয়া কমপ্লেক্স-এর চেয়ারম্যান মোস্তফা আল হাসান, চিকিৎসা প্রদান করেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. হুয়ায়ন রশিদ, গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. ফারহানা আক্তার, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. তৌহিদ চৌধুরী।
বক্তারা বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে এ ধরনের উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং ভবিষ্যতে স্থানীয় জনগণের কল্যাণে টেকসই দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
চিকিৎসা নিতে আসা এক কিশোরী জানান, কিছু গোপনীয় সমস্যায় কয়েক মাস ভুগছিলাম, কিন্তু ব্যয়বহুল হওয়ায় চিকিৎসা নিতে পারিনি। এখান থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পেয়েছি। এজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
আল হাবিব লতিফিয়া কমপ্লেক্স-এর চেয়ারম্যান মোস্তফা হাসান চৌধুরী গিলমান বলেন, এই অবদান আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য ঐতিহাসিক। সুশীলন ও এইসসিআই’র মহৎ সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ এবং ভবিষ্যতেও তাদের পাশে চাই।
সুশীলনের উপ পরিচালক মোস্তফা বকলুজ্জামান বলেন, সুশীলন সবসময় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে আসছে। আমরা শুধু অবকাঠামো নয়, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও এই অঞ্চলে কাজ করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।