চারদিকে চলনবিল মাঝখানে দিয়ে তৈরি করা হয়েছে আঁকা-বাঁকা আঞ্চলিক পিচঢালা পাকা সড়ক। সড়কের দুই পাশ দিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত এই রাস্তার পাশ দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে একাধিক কফি হাউজ ও ফাস্টফুড ।
এরই মধ্যে অন্যতম নাম ‘বিসমিল্লাহ কফি হাউজ অ্যান্ড ফাস্টফুড।
কফি হাউজ এন্ড ফাস্টফুড সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার উধুনিয়া এলাকায় মনরোম পরিবেশে গড়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে কফি হাউজটি ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার ভ্রমণপিসাসু ছুটে আসছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার উল্লাপাড়ার শহর থেকে উধুনিয়া ইউনিয়নের প্রায় ২০ কিলোমিটার এই আঞ্চলিক সড়কটি এক সময় চরম বিপর্যস্ত ছিল। এ সড়কটি যানবাহন চলাচলেরও উপযোগী ছিলো না। দুই বছর আগে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি সংস্কার ও বর্ধিত করা হয়। এ কারণে অবহেলিত চলনবিলের বুকচিরে নির্মিত আঁকা-বাঁকা সড়কটি বদলে দিয়েছে এখানকার চিত্র।
বর্তমানে সড়কটি ঘিরে দুই ধারে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় অনেক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, কফি হাউজসহ বিভিন্ন রকমের বিনোদন কেন্দ্র। তারই মধ্যে বিশেষ আকর্ষন হচ্ছে ‘বিসমিল্লাহ কফি হাউজ অ্যান্ড ফাস্টফুড।
বিসমিল্লাহ কফি হাউজ এন্ড ফাস্টফুড কর্তৃপক্ষ জানান, উধুনিয়া এলাকায় ৩৫ শতক জায়গায় তৈরি করা হয়েছে উক্ত কফি হাউজ এন্ড ফাস্টফুডটি। কাঠ ও লোহার উপরে বিছানো হয়েছে কাঠের পাটাতন। সেখানে ১০টি টিনের ছাউনি দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
সেই ঘরের ভিতর চেয়ার টেবিল সাজানো আছে। এখানেই পার্টি সেন্টার, পরিচালকের কক্ষ, রান্নাঘর, টয়লেট ও পুরো কফি হাউজ জুরে নানা ধরণের ফুলসহ অনেক গাছ বসিয়ে সবুজায়ন আর নান্দনিক রূপ দেওয়া হয়েছে একসঙ্গে ৩ শতাধিক অতিথির খাবারের সুব্যবস্থা রয়েছে।
রেস্টুরেন্টের কর্মচারীরা জানান, এখানে রয়েছে টাটকা বিভিন্ন রকমের হাঁস, দেশি মুরগীর মাংসসহ দেশি-বিদেশি খাবারের ব্যবস্থা। একই সঙ্গে রয়েছে চা, কফি, কোমল পানি, বিরিয়ানি, মোরগ পোলাও লাচ্ছিসহ মুখরোাচক খাবার। এই খাবারগুলো অত্যন্ত যতœ সহকারে ভ্রমণ পিসাসুদের পরিবেশন করা হয়।
ঘুরতে আসা নাছিমা আক্তার বলেন, ‘জায়গাটা অনেক সুন্দর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বিশুদ্ধ বাতাস সব কিছু মিলে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ।এখানে এলে ভালোই লাগে।’
ঘুরতে আসা সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, ‘এই রেস্টুরেন্টে খাবারের জন্য বসে হিমেল হাওয়ায় খাবার খেতে খেতে ¶নিকের জন্য হারিয়ে যেতে হয় অজানায়।
পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা আরিফুর রহমান বলেন, ‘ সন্ধ্যার পর রেস্টুরেন্টটির চমৎকার লাইটিং দূর থেকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষন করে। মনোমুগ্ধকর পরিবেশের কারণে ছুটে এসেছি।’
এছাড়াও ঘুরতে আসা অধিকাংশ ব্যক্তিরা বলছেন উধুনিয়ায় তিনটা কফি হাউজ নির্মাণ হয়েছে এর মধ্যে খাবারের মান এবং কর্তৃপক্ষের ব্যবহার এর দিক থেকে বিসমিল্লাহ কফি হাউজ অতুলনীয়।
উল্লাপাড়া উপজেলা শহর থেকে যে কোন যানবাহনে এই চমকপ্রদ উধুনিয়া এলাকায় সহজেই আসা যাওয়া যায়।
বিসমিল্লাহ কফি হাউজের কর্তৃপক্ষ আরো জানান, ‘আমরা ৮ জন মিলে ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এই কফি হাউজ এন্ড ফাস্টফুডটি নির্মাণ করেছি।
এটি দেশের ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য অন্য রকম কফি হাউজ এন্ড ফাস্টফুড। এখানে দেশি ও বিদেশি সব রকম খাবার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কফি হাউজে প্রায় ২ হাজারের মতো অতিথি আসেন। তাদের সার্বিক নিরাপত্তাসহ সেবা দিয়ে থাকি। আমাদের রেস্টুরেন্টটি আরও দৃষ্টিনন্দন করার কাজ চলছে। আমরা শুধু ব্যবসা নয় মানুষদের বিনোদন এবং সেবা দেওয়ারও চেষ্টা করছি।