“সবার জন্য প্রয়োজন জন্ম মৃত্যুর পরপরই নিবন্ধন” এমন প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে খাষপুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর আয়োজনে কোদালিয়া বাজার ইউপি কার্যালয়ে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল (৮ নভেম্বর) বুধবার দুপুরে খাষপুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান এর সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন, চৌহালী উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো, মাহমুদুল হাসান, মিটুয়ানি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোলাম মস্তফা, উপসহকারী কৃষি বিদ মোহাম্মদ আলী, ইউপি সচিব জুয়েল রানা,হিসাবসহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো, হুমায়ুন কবির, উদ্যোক্তা এস আই রাশিদুল, ইউপি সদস্য, টাস্কফোস কমিটির সদস্য ও গ্রাম পুলিশ।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, কোনো শিশুর জন্মের ০-৪৫ দিনের মর্ধ্যে শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদ বিনামূল্য দিচ্ছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধনে সরকারি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু অনেক বাবা-মা তাদের শিশুর জন্ম নিবন্ধনে আগ্রহ তুলনামূলক কম। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রয়োজনে মা-বাবারা সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করিয়ে সনদ নেওয়ার জন্য ছুটাছুটি করেন সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে। ততদিনে শিশুর বয়স পাঁচ-ছয় বছর হয়ে যায়। তখন লুকোচুরি করে প্রকৃত দিনক্ষণে শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা হয় না। এমন পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান তার ইউপির প্রত্যেক ওয়ার্ড ব্যাপী এ ব্যতিক্রমী কর্মসূচি শুরু করেছেন।
খাষপুকুরিয়া ইউপি সচিব জুয়েল রানা বলেন,প্রত্যেক ওয়ার্ডের কোনো দম্পতির পরিবারে নবজাতকের আগমনের খবর পেলেই যথাসময়ে বাড়িতে পৌঁছে যাবে জন্ম নিবন্ধন সনদ। সেইসাথে মিষ্টি ,ফুলের তোড়া ও গাছের চারা।তার বাবা-মাকে দিয়ে শিশুটির জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করার বার্তা পৌঁছে দিতে জনসচেতনতা সৃষ্টি লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে খাষপুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ।
মিটুয়ানি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ গোলাম মস্তফা বলেন, স্মার্ট যুগ আরো বেগবান করতে এবং সরকারের উন্নয়ন ও তথ্য নিশ্চিত করে জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়ে দেশকে উন্নত উদ্বাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার আহবান জানান তিনি।
বিশিষ্ট সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে গ্রাম হবে শহর, গ্রাম আদালত হবে শক্তিশালী, জন্ম- মৃত্যুর পরপরই নিবন্ধন, সংক্রান্ত বিষয়ে টাস্কফোস কমিটির সভা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা জনগণের দৌড় গড়ায় পৌঁছে দিতে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে, তাহলেই দেশ শেখর থেকে শেখরে পৌঁছে যাবে ইনশাআল্লাহ।
খাষপুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ‘শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানের জন্ম নিবন্ধনে আগ্রহী হন না। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে গাফিলতি করেন। অথচ জন্ম নিবন্ধন একটি শিশুর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। জন্ম নিবন্ধনের মধ্য দিয়েই একটি শিশুর ভবিষ্যতের অনেক কিছু নির্ভর করে। বিষয়টি জেনেও অনেক অভিভাবক অবহেলা করে থাকেন। তাই বিষয়টি মাথায় রেখে এবং শিশুদের বাবা-মাকে তাদের সন্তানের সঠিক সময়ে সঠিকভাবে জন্ম নিবন্ধনে উৎসাহিত করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, সরকারের ভিশন উন্নত উদ্বাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে মানুষকে সচেতন, তথ্য নিশ্চিত ও সেবা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ এলাকায় জনসচেতনতায় কাজ করছে। গ্রাম আদালত ও জন্ম- মৃত্যু নিবন্ধন সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন টাস্কফোর্স কমিটির সভায়।