শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
নাগরপুরে ৭ নভেম্বর পালিত গোপালপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত আটোয়ারীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রযুক্তিগত কর্মকর্তা’র নেতৃত্বে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন পরিদর্শন টিম পাবনা-৩ আসনে নির্বাচনী উত্তাপ! স্থানীয় প্রার্থী দাবিতে বিএনপির দুই নেতার যৌথ আন্দোলনের ঘোষণা জারিফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রথম সফল নরমাল ডেলিভারি: মা ও নবজাতক দুজনেই সুস্থ ঝাওয়াইল দাখিল মাদরাসা পরিদর্শনে সভাপতি ডা. মো. রফিকুল ইসলাম নাগরপুরে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত গোপালপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদকসেবনে এক ব্যক্তির কারাদণ্ড

সলঙ্গার ঘুড়কায় লক্ষীপ্রতিমার বিসর্জন

কে,এম আল আমিন, নিজস্ব প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০২৩, ৭:৩২ অপরাহ্ণ

হিন্দু অধ্যূষিত একটি এলাকার নাম সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ঘুড়কা।আবহমান কাল থেকে যেখানে চলে আসছে জেলার সবচেয়ে বড় লক্ষীপুজা। শুধু তাই নয়,শারদীয় দুর্গোৎসবের চেয়েও ঘুড়কার লক্ষীপুজার শেষ দিন বিসর্জনে বেশী আনন্দ হয়।পুজা উদযাপন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের কারনে ২ বছর ধরে সনাতন ধর্মালম্বীদের লক্ষী প্রতিমা বিসর্জনে আর আগের মত নদীতে আনন্দ হচ্ছে না।সনাতন ধর্মালম্বী অনেক যুবকেরাই নৌবহরের মাধ্যমে নাচে গানে বিসর্জনের দাবী তুলেছে।প্রতি বছর ঘুড়কায় লক্ষীপুজা শেষে বিসর্জনের দিন পাশ্ববর্তী করতোয়া নদীর জয়ানপুর ঘাট হতে বিষনোপুর খেয়াঘাট পর্যন্ত নদীতে শুরু হত শতশত নৌকার বহর।একেকটা নৌকা সাজতো একেক রকম।ঢাক ঢোল আর সাউন্ডবক্স-মাইকের শব্দে মুখরিত হত চারদিক।সনাতন ধর্মালম্বীরাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিভিন্ন বয়সের ছেলে-মেয়ে,শিশু,কিশোর-কিশোরী,যুবক-যুবতীরা ভীড় জমাতো নদীর দু’পাড়ে।দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন এলাকার মানুষ নৌকা নিয়ে আসতে শুরু করত।নদীর পাড়ে ঘুড়কা ভুমি অফিস সংলগ্নে বিশাল গ্রামীণ মেলা বসত।প্রতিমা বিসর্জন করতে অসংখ্য নৌকার বহর যেন উপভোগ করার মত। সাউন্ড বক্স,মাইক আর ঢাকের তালে তালে নৌকায় বিনোদন প্রেমীদের নৃত্যে মুখরিত থাকতো এই নদী।মনোমুগ্ধকর দৃশ্য ফুটে উঠতো নদীতে নৌবহরে।ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নদীর দু’পাড় মিলন মেলায় পরিনত হতো।নৌকায় প্রতিমা তুলে ঢাকের তালে নৃত্য,গান, মিউজিকে মেতে ওঠার দৃশ্য চলতো সন্ধ্যা পর্যন্ত। এরপর প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হত নদীতে।মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ছিল ঘুড়কায় লক্ষী প্রতিমা বিসর্জনের দিন। বিসর্জনের  এমন আনন্দ উপভোগ অম্লান বিষয়ে সলঙ্গা থানা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ভবেশ চন্দ্র তালুকদার জানান, নদীতে নৌবহরে ঢাকঢোল,নৃত্য আনন্দে নানাবিধ সমস্যার কারনে গত ২ বছর ধরে বন্ধ ঘোষনা করেছি।তাই তাই স্ব স্ব পুজা কমিটিকে সন্ধ্যার পরে পৃথক পৃথক ভাবে নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে বলা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর