সরকারি বিধিমতে বিশেষ দিনে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের উন্নত মানের খাবার দেওয়ার বিধান থাকলেও তা মানা হয়নি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া (সদর) ৩০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে। ভর্তি থাকা রোগীদের ভাগ্নে জোটেনি ঈদে মিলাদুন নবী উপলক্ষে এই বিশেষ দিনে উন্নত মানের খাবার বঞ্চিত হয়েছে ভুক্তভোগী রোগীরা। সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, সরকারি বিশেষ দিন উপলক্ষে বিধান মতে খাবার দেওয়ার কথা ছিল: সকালের নাস্তা: সিদ্ধ রুটি, ডিম , লাচ্ছা সেমাই ও মিষ্টি । দুপুরে: খাসির গোস্তো, পোলাও, খাসির গোস্তোরতেল দিয়ে সোলার ডাউল, সবজি ও সালাত। রাতের খাবার: সাদা ভাত,খাসির গোস্তো,সোলার ডাউল,কিন্তু ঈদে মিলাদুন নবী উপলক্ষে এই বিশেষ দিনে রোগীদের ভাগ্নে জোটেছে সকালের নাস্তা: ছোট্ট একটি পাউরুটি ও কলা। দুপুরের খাবার:সাদা ভাত, ব্রয়েলার মুর্গীর এক টুকরো গোস্তো এবং রাতের খাবার তাই জুটেছে। কিন্তু ভর্তি রোগীদের এই বিশেষ দিনে ভাগ্নে জোটেনি: খাসির গোস্তো, পোলাও ডিম, সোলার ডাউল,সবজি,সালত ও মিষ্টি। এতে করে ভর্তি রোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
এসময় রোগীর কাছে খাবার সম্পর্কে জানতে চাইলে ভর্তি থাকা রোগী উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ব দেলুয়া গ্রামের সলিম উল্লাহ, সোনতলা নতুন পাড়া গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম ও উল্লাপাড়া পর্চিম গ্রামের মো: রজব আলী জানান, সকালে পাউরুটি, কলা। দুপুরে ভাত ব্রয়েলার মুর্গীর একপিচ গোস্তো ও রাতেও তাই। কিন্তু রোগীর খাবারও সময় মত দিতে পারেন না।
এ ব্যাপারে খাবারের ঠিকাদার আল মাহমুদ এন্টারপ্রাইজ নামে লাইসেন্স এর স্বত্বাধিকারী মো. আল মাহমুদ বলেন, আমাদের তারা আগে জানাননি যে, আজ বিশেষ দিন এবং ভালো খাবার দিতে হবে। যার ফলে আমরা সেভাবে দিতে পারিনি। পরে যেটুকু সম্ভব হয়েছে সেটুকুই দেওয়া হয়েছে।
ব্যাপারে উল্লাপাড়া সদর (৩০) শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. আল মামুন চলনবিলের আলোকে জানান , বিশেষ দিনে খাবার সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের হেড অফিস থেকে কোন মেইল পাইনি। তবে আজকে বিশেষ খাবার দেওয়ার কথা এটাও সত্য। তাই খাঁসির পরিবর্তে বয়লার মুরগী খাওয়ানো হয়েছে।তবে ঠিকাদার আমাকে বলেছেন তিনি অল্প সময়ে যেটুকু পেরেছেন সেটুকুই করেছেন।