মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৩৮ অপরাহ্ন

ই-পেপার

সিংড়ায় সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩, ১১:০৭ অপরাহ্ণ

নাটোরের সিংড়ায় সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন আলীরাজকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে সিংড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন ভূক্তভোগী সাংবাদিক আনোয়ার হেসেন। তিনি দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার সিংড়া উপজেলা প্রতিনিধি।
জিডি সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন আলীরাজ এর সৎ মা মোছা. নকিরন নেছার মৃত্যুর প্রায় তিন বছর পর ভূয়া দলিল করে নেয় উপজেলার আগপাড়া সেরকোল গ্রামের মৃত ইয়াতুল্লাহ মোল্লার ছেলে মো. আফছার আলী। তার আগে একই গ্রামের প্রভাবশালী আবজাল সরকার এর মা মোছা.হাবিয়া খাতুন ওই সাংবাদিকের নিজ নামীয় জমিও জালিয়াতির মাধ্যমে জাল দলিল করে নিয়ে পরবর্তীতে মোছা.হাবিয়া খাতুন তার আপন ভাতিজা নুরুল আমিনের নিকট হস্তান্তর করে।
সাংবাদিক আনোয়ার নাটোর দেওয়ানী আদালতে আফছার আলীর দলিল বাতিলের মামলা করেন। ওই মামলা দায়েরের পর বিবাদীগণ তাকে নানাভাবে হয়রানিসহ খুন-জখমের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করা হয়।
সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব ও ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে বাসায় ফিরতে অনেক রাত হয়। বিবাদীগণ সকলেই প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না। জমিসংক্রান্ত মামলা করায় বিবাদীগণ ইতিপুর্বে সাংবাদিককে খুন জখমের উদ্দেশ্যে মারপিট করে। এসব ঘটনায় গত ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর  জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আবজাল সরকার ও আফছার আলী বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি করেন তিনি। যাহার জিডি নং ৩৬, তারিখ-০১/০৯/২০২১। পরে বিবাদী আদালত হাজির হয়ে জামিনে বেড়িয়ে আসার পর আবারো তাকে প্রাননাশের হুমকি দেয়। বর্তমানে সাংবাদিক প্রাণনাশের শংকায় পরিবার নিয়ে সিংড়া শহরে গিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নুরুল আমিন বলেন, অভিযোগকারী আনোয়ার হোসেনের শরীকের নিকট থেকে এই সম্পত্তি ক্রয় করা হয়েছে। কিন্তু  আনোয়ার  হঠাৎ করে এই সম্পত্তির মালিকানা দাবি করছে এবং আমার দলিল জাল বলে আদালতে মামলা করেছেন। মামলাটি  আদালতে চলমান রয়েছে। তিনি আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন।  আনোয়ার হোসেন মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর অভিযোগ এনে সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। অপর অভিযুক্ত মো.আফছার আলী বলেন, অভিযোগকারী আনোয়ার হোসেন আলীরাজকে কেউ প্রাণনাশের হুমকি দেয়নি। বরং তিনি নিজেই জাল দলিল উপস্থাপন করেছেন। বিষয়টি আদালতেই প্রমাণ হবে।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জিডি প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইনগতভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর