সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

আটঘরিয়ার রামনগর এলাকায় ভেকু দিয়ে ফসিল জমিতে মাটি বিক্রির মহোৎসব অভিযোগ এলাকাবাসীর

আটঘরিয়া(পাবনা)প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: সোমবার, ৫ জুন, ২০২৩, ১০:৪৪ অপরাহ্ণ

পাবনার আটঘরিয়ায় ভেকু ব্যবসায়ী হালিম ও রাজার বিরুদ্ধে ফসিল জমিতে ভেকু দিয়ে দিনে ও রাতের আধারে পুকুর খনন করার অভিযোগ উঠেছে।
তারা ভূমি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফসলি জমির মাটি বিক্রির মহোৎসবে মেতেছে। পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করছে কৃষিসংশ্লিষ্ট সচেতন মহল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সারা বছরই এসব মাটিখেকো তাদের অবৈধ মাটি বিক্রির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাটি খেকোদের উৎপীড়নে দিশাহারা হয়ে উঠেছে ফসলি জমির মালিক ও কৃষি শ্রমিকরা।
উপজেলার দেবোত্তর, একদন্ত, মাজপাড়া, চাঁদভা ইউনিয়নে কয়েকটি স্পটে মাটি উত্তোলন হচ্ছে। কৃষিজমি কথিত মাটি ব্যবসায়ীরা বিনষ্ট করছে। পুকুর খনন ও মাছ চাষের কথা বলে মাটি তুলছে তারা- উদ্দেশ্য মাটি বিক্রি করা।
এলাকাবাসীর দাবি, মাছ চাষের কথা বলে পুকুর খনন করে শত শত বিঘা আবাদি কৃষি জমির মাটি ভেকু দিয়ে কেটে বিভিন্ন ইটভাটা ও স্থাপনা নির্মাণকারীদের কাছে বিক্রি করছে মাটি বিক্রেতা সিন্ডিকেট।
অন্যদিকে মাটি আনা-নেয়ার ফলে অধিকাংশ গ্রামীণ কাঁচাপাকা সড়কের বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে সচেতন মহল বলছেন, রাস্তাঘাট যতই ঠিক করা হোক না কেন লাভ নেই, কারণ মাটি বিক্রি বন্ধ না হলে ট্রলি ও ড্রামট্রাক চলাচল বন্ধ হবে না।  যার কারণে পাকা সড়কের পিচ উঠে যায় ও গর্ত সৃষ্টি হয়। কাঁচা সড়ক ভেঙে বড় বড় গর্ত হয়, যা দেখার ও বলার কেউ নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শ্রীকান্তপুর গ্রামে ১৫-২০ ভুক্তভোগী কৃষক বলেন, হালিম, রাজা গং সারা বছর মাটি বিক্রি করলেও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে না।
ভেকু দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে নেয়ার কারণে সড়কগুলো যাতায়াতের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে তারা স্থানীয় প্রশাসনের নিরবতাকে দায়ী করেন।
সমরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে মৃত আমানত প্রাং এর ছেলে জামান এর জমিতে অসাধু ভেকু ব্যবসায়ী আব্দৃল হালিম, রাজা গং দিনে ও রাতের আধারে মাটি কেঁটে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ তোলেন।
এলাকার কৃষকরা জমি হারানোর দুশ্চিন্তায় আছেন। আর এসব আবাদযোগ্য কৃষিজমি বিভিন্ন কৌশলে বছরের পর বছর মাটি বিক্রি করছে তারা।
তবে অনুমোদনের কাগজ দেখতে চাইলে দেখাতে পারেননি তারা। মৌখিকভাবে তাদের কাছে বিষয়টি জানিয়েই আমরা মাটি কাটছি বলে জানান তারা।
বিষয়টি বন্ধের জন্য উপজেলা প্রশাসনের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সাধারণ কৃষকরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর