চলনবিলের তাড়াশ উপজেলার বিলের মধ্য অবস্থিত দিঘি সগুনা গ্রামের কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে সাদ্দাম হোসেনের (৩৩) দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। জীবন-মৃত্যুর সন্ধি¶ণে সাদ্দাম কে বাচাতে বড় বোন জেসমিন (৪৫) একটি কিডনি ভাইকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও কিডনি প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে টাকার অভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
কিডনি রোগী সাদ্দাম হোসেনের আশা সমাজের বিত্তবান ও মহৎ হ্রদয়ের মানুষেরা সহযোগিতা করে কিডনি প্রতিস্থাপনের ব্যয় বহন করতে এগিয়ে আসবেন ।
চলন বিলের মধ্য অবস্থিত দিঘি সগুনা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাদ্দাম। বর্তমানে সাদ্দাম হোসেন ঢাকার কিডনি ফাউন্ডেশন এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পাশাপাশি ঢাকার গণ স্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে সপ্তাহে দুদিন কিডনি ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। সপ্তাহে তিনবার ডায়ালাইসিস করা গেলে ভালো হতো। কিন্তু টাকার অভাবে সঠিকভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেননা।
সাদ্দাম হোসেনের মা রোকেয়া খাতুন বলেন, চিকিৎসা করে অতি আদরের একমাত্র ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে পারিনি। এরই মধ্যে চিকিৎসার ব্যয় বহন করে সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়েছেন। বসত বাড়ির জায়গাটুকোও বিক্রি করে দিয়েছেন । চিকিৎসক এক মাসের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে বলেছেন। সময় পাড় হয়ে যাচ্ছে। টাকার জোগার করতে পারছেন না। দেশ ও প্রবাসের মানুষ টাকা দিয়ে সহযোগিতা না করলে ছেলেকে বাঁচানো সম্ভব হবেনা।
সাদ্দাম হোসেনের বোন জেসমিন খাতুন ডাক্তারি পরিক্ষায় আমার ছোট ভাই সাদ্দাম হোসেনের সাথে কিডনি ম্যাচিং হওয়ায় নিজের একটি কিডনি ভাইকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কিডনি প্রতিস্থাপন ও সুচিকিৎসা জন্য ১০ লাখ টাকার মতো ব্যয় হবে। তিনি সকল হৃদয়বান ও দানশীল ব্যক্তির কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন আদরের ছোট ভাইয়ের জীবন বাঁচাতে। সাদ্দাম হোসেন কে সহযোগিতার জন্য টাকা পাঠানোর বিকাশ নাম্বার ০১৭৩৪৩১০১৯৪। এছাড়াও জনতা ব্যাংক তাড়াশ শাখার ০১০০২২৭৪৩৮২৩৬ নাম্বার হিসাবেও সাহায্য পাঠাতে পাররেন।