মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:১৪ অপরাহ্ন

ই-পেপার

বড়াইগ্রামে বই মেলার নামে বানিজ্য মেলা

নাটোর প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ
KODAK Digital Still Camera

নাটোরের বড়াইগ্রামে বই মেলার নামে বানিজ্য মেলা চলছে। গত শুক্রবার উপজেলার গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ ৬ দিন ব্যাপি এই বই মেলার উদ্বোধন করেন। বই মেলায় বইয়ের ষ্টল ছাড়াও রয়েছে র‌্যাফেল ড্র, নাগর দোলা, খেলনা দোকান, নার্সারী, জুয়ার আসর, মাদকের সরবরাহসহ বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান।
মেলা সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার শুরু হয়ে বুধবার শেষ হবে। মেলায় দুই হাজার টাকা নিয়ে ৪৮টি বুক ষ্টলের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। একটি র‌্যাফেল ড্রয়ের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। প্রায় শতাধীক খাবারের দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়াম খাতুন, উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
রোববার সন্ধায় মেলা ঘুরে দেখা যায়, বই মেলায় বুকষ্টলের চেয়ে খাবারের দোকানে মানুষের উপচে পরা ভির লক্ষ্য করা যায়। মেলায় নাগর দোলা মালিক ইমাম হাসান  ১ এক্ষ ৮৮ হাজার টাকা ও পাবনার জেলার মুলাডলি থেকে ফুসকা হালিমের দোকানদার আবির হোসেন প্রতি হাত ১ হাজার টাকা নিয়ে মেলা আয়োজকরা বরাদ্দ দিয়েছে। এরকম ভাবে আচারের দোকানদার ৮ হাজার টাকা, পাবনা ময়না এলাকার চোপের দোকানদার ১৮ হাজার, আলমগীর হোসেন ১২ হাজার, আব্দুর রাজ্জাক ৩০ হাজার টাকা, আকবর ৬ হাজার টাকা, রাজুর ৯ হাজার টাকা ছাড়াও মেলায় শতাধিক ষ্টল থেকে এই টাকা নিয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
 বড়াইগ্রাম থানা উপ-পরিদর্শক সত্যব্রæত সরকার  বলেন, রোববার বই মেলার পাশেই চায়ের দোকানে জুয়া খেলতে ছিল। আমরা ভেঙ্গে দিয়েছি। এ ছাড়াও আশে মাদক সরবরাহ হচ্ছে। মেলা আয়োজক কমিটি কোন ভুমিকাই রাখছে না। এগুলো নির্মূলে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
মেলার আয়োজনের সার্বিক তত্বাবধায়ক ফারুক হোসেন বলেন, আমরা চাই সব দোকান বন্ধ থাক। কিন্তু তারাতো কোন কথা শুনে না। আর নাগর দোলা আমরা দিতে চাই নাই। তাদের নিষেধ করলেও প্রশাসনকে টাকা দিয়ে বসাবে। তাই আমরা দিয়েছি। কোন জুয়া বা মাদকের সরবরাহের সুযোগ নাই।
বই মেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়াম খাতুন বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর