রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

সিরাজগঞ্জের চৌহালী  উপজেলার ১৮টি গ্রামের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো

মাহমুদুল হাসান, চৌহালী(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৫:১৪ অপরাহ্ণ

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চল বাঘুটিয়া  ইউনিয়নে সলিমাবাদ বিনানই রেহাই পুকুরিয়া বাজার বৈন্যা বাইপাস সড়কে রেহাই পুকুরিয়া উত্তর পারা সড়ক ভাঙ্গায় কাঠের সাঁকো  ও  চরনাকালিয়া মরা খালের উপর বাঁশের সাঁকোর দক্ষিণে বাঘুটিয়া ইউনিয়ন ও উত্তরে খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নে ১৮টি গ্রামের মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা  কাঠের  ও বাঁশের সাঁকো। সেতুর অভাবে যুগ যুগ ধরে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। মটরসাইকেল চলাচলেও ঝুঁকি দেখা হচ্ছে না চক্ষু মেলিয়া। বারি যান বাহন চলাচল বন্ধ ব্যবসায়ি ও কৃষকদের মালামাল নিয়ে বিপাকে, হতাশ এলাকাবাসি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বাঘুটিয়ার চরনাকালিয়া তালুকদার বাড়ি সংলগ্ন খালের দক্ষিণে বিনানই পুর্ব, বিনানই পশ্চিম পারা, চরসলিমাবাদ, চরসলিমাবাদ দক্ষিণ পারা, মধ্য পারা,সলিমাবাদ পশ্চিম পারা,  চরনাকালিয়া, রেহাই পুকুরিয়া, ভুতের মোর, উত্তরে বৈন্যা,কোদালিয়া, পশ্চিম কোদালিয়া, খাষপুখুরিয়া, দক্ষিণ খাষপুখুরিয়া, মধ্য খাষপুখুরিয়া, উত্তর খাষপুখুরিয়া, শাকপাল গ্রামসহ  উপজেলা সদর চৌহালী ও আশপাশের এলাকার মানুষ সলিমাবাদ- বৈন্যা  সড়কটি ব্যবহার করে থাকেন। শুকনো মৌসুমে পায়ে হেঁটে, বাইসাইকেল, হোন্ডা ও বর্ষা মৌসুমে এ অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র বাহন থাকে নৌকা। এছাড়া সারা বছরই নদীর  অংশে নৌকা ছাড়া পারাপার হওয়া যায় না।
স্থানীয়রা জানায়, সলিমাবাদ চরসলিমাবাদ – রেহাই পুকুরিয়া বৈন্যা সড়কে তালুকদার বাড়ি সংলগ্ন বাঁশের সাকো, শিল্পপতি আবুল কালাম এর বাড়ির পাশে সড়ক ভাঙ্গায় কাঠের সাঁকো যেন মরণ ফাদ। পৃথক দুটি পাইলিং সেতু বা ব্রীজ স্থাপনা করা হলেই স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ।  ওই এলাকায় সেতুর অভাবে কৃষক তার কৃষি পণ্য হাট- বাজারে রপ্তানি, বাজারজাত করন,  স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীকে পারাপারের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। যান বাহন চলাচল বন্ধ থাকার কারণে অনেক সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
চরনাকালিয়া তালুকদার বাড়ি সংলগ্ন ও রেহাই পুকুরিয়া উত্তর পারা সড়ক ভাঙ্গায়  সেতু না থাকায় এতদাঞ্চলের মানুষদের হয়রানির শিকার ও মরণ ফাদ।  ওই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার কর্মমুখী মানুষ, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন গ্রীষ্ম ও বর্ষাসহ সব মৌসুমে চলাচল করে থাকে। বাঘুটিয়া ইউনিয়নে ২টি পাইলিং ব্রীজ (সেতু) নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।  রাস্তাটিতে ধূলো-বালিতে চলাচল করা দু:সাধ্য হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে নদী তীরের বাড়িগুলোতে বসবাস করাও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
আরপিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল  ইসলাম বলেন এ সড়ক পথ সারা বছরই ঝুঁকি পুর্ণ। কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ জনসাধারনের  কষ্ট আকাশ সমান, সমাধানের লক্ষ নেই উন্নত স্মার্ট যুগে। এ সড়কে ২টি সেতুই বদলে দিতে পারে এলাকা বাসির ভাগ্য।
সম্ভুদিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল কাহহার সিদ্দিকী  জানান, বর্ষা মৌসুমে শিশুদের স্কুলে আসা-যাওয়া করতে খুবই অসুবিধা হয়। এ সময় বিদ্যালয়ে উপস্থিতি একেবারেই কমে যায়। এখানে সেতু নির্মাণ হলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়বে- শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে।
বাঘুটিয়া  ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম মোল্লা  জানান, কৃষি প্রধান এলাকা হওয়ায় পণ্য পরিবহণে কৃষকরা মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হন। বর্ষা মৌসুমে  ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়, শুকনো মৌসুমে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হয়। শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতে খুবই অসুবিধা।
তিনি আরো জানান, এখানে সেতু নির্মাণের জন্য তিনি উপজেলা পকৌশলীর কাছে একাধিকবার আবেদন করেছেন। শেষ পর্যন্ত সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে বলে তিনি শুনেছেন।
চৌহালী উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) নাবিল হোসেন জানান, দুটির একটিতে সেতু নির্মাণে স্টাডি হয়েছে ও সেতু নির্মাণের জন্য ডিজাইন হচ্ছে। স্থান নির্ধারণ ও সেতুর ড্রইং নিয়ে কাজ হচ্ছে। এরপর উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়েছে  কাজ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর