স্বর্ণালী জ্যোৎস্নায় স্নিগ্ধ পবনে কামিনী পুষ্প সুগন্ধে
শিক্ষাঙ্গন থেকে ভেসে আসে কান্নার চিৎকার;
সিঁড়ি থেকে বেয়ে আসে এক সাগর রক্তের বন্যা
ঘর থেকে ভেসে আসে লক্ষ-লক্ষ তরুণীর আর্তনাদ!
বেশ্যার দেহ ক্ষত-বিক্ষত যন্ত্রণায় প্রাণ যায় যায়
গর্ভবতী জননীর অঙ্গে রক্ত ঝরছে আর ঝরছে ;
বাবা,ভাই ,স্বামী বন্ধু দের বেঁধে,অগ্নি দহনে ,
কিংবা বুলেটের আঘাতে,ভবিষ্যৎ নক্ত করতে উন্মত্ত।
পূর্ব বঙ্গে কালো পয়োধরের ঘনঘটা,
চিল,শকুন,ঈগল হিংস্রতার শঙ্কা রোপণ করে বাঙালির অন্তরে।
তুলে নিল সেই অগ্নি ঝরা ভাষণের সংগ্রামী ছেলেটা:
ভাঙ্গনে দাঁড়িয়ে বীর সৈনিক তুলে ধরে এক লিখিত ভাষণ।
গহীন আতঙ্ক থেকে বেরিয়ে এলাম ঝাঁকে ঝাঁকে তরুণ-তরুণী
খুলে দিলাম মর্ম কপাট স্বদেশ প্রীতির বন্ধনে;
হাতে তুলে নিলাম সেই ভয়ংকর মৃত্যু
মশাল হাতে বেরিয়ে পড়লাম রাজ পথে ;
গাঁয়ের চাষা-ভ‚ষা,লোহার শ্রমিক,রিক্সা চালক,
যাযাবর,নর্তকী,পথ-শিশু ছুটে আসে তো আসে;
মিশে যায় জ্বলন্ত অগ্নি-ঝরা জনতার মিছিলে
হঠাৎ রক্তাক্ত রাজপথ দেখে থমকে দাঁড়ায়;
ক্লাসের প্রথম হওয়া ছেলেরা যাবে না বিস্ফোরণ সংগ্রামে।
অপর সবাই এগিয়ে গেল অস্ত্র হাতে দলে দলে সংগ্রামী মিছিলে,
প্রতিশোধের অগ্নি ছড়িয়ে দিল পাকবাহিনীর দেহে;
ঝরতে ঝরতে বসন্তের হাওয়ায় ভেসে এলো মহান স্বাধীনতা।