শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৫০ অপরাহ্ন

ই-পেপার

ভাঙ্গুড়ার “শাপলা সৈকত” অনুপম চারণক্ষেত্র

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই, ২০২০, ৮:২৭ অপরাহ্ণ

মো:খায়রুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিবেদক: 

নিত্যনৈমিত্তিক কর্মব্যস্ততায় প্রাণ যখন হাঁপিয়ে উঠে তখন দূরে কোথাও হারিয়ে যেতে মন চায় । তবে সময়ের অভাবে অনেকেই দুরে কোথাও যেতে পারেন না। সময়-সুযোগ, অর্থ সবকিছু মিলিয়ে আর যাওয়া হয়ে উঠে না। আর তাই তাদের জন্য সাপ্তাহিক ছুটিতে কিছুটা কাছে কোথাও ঘুরে আসাই শ্রেয়। পরিবার-পরিজন অথবা বন্ধুদের নিয়ে চাইলেই ঘুরে আসতে পারেন পাবনার ভাঙ্গুড়ার “শাপলা সৈকত” থেকে।

পাবনার ভাঙ্গুড়া-চাটমোহর উপজেলার মাঝে এই শাপলা সৈকতের অবস্থান। দেশের সবচেয়ে বড় জলাধার চলন বিলের পাশেই আরেকটি বিলের নাম “বগাবিল”। এই বগাবিলের চতুর্পাশে অপরূপ দৃশ্যে ভরা আর জলরাশিতে ভরপুর। বর্তমানে  শাপলা সৈকত নামে পরিচিত । সেখানে এখন বর্ষার জল থৈ থৈ করছে। যতদূর চোখ যায় শুধুই জলরাশি। দিগন্ত রেখায় অবারিত সবুজ গাছ আর গ্রাম। বিলের মাঝ দিয়ে চলে গেছে দিয়ারপাড়া-বোয়ালিয়া-টেঙ্গরজানি হয়ে পাশ্বডাঙ্গার পাকা সড়ক। অপর দিক দিয়ে গেছে পাটুলীপাড়া-চরপাড়া-টেঙ্গরজানি হয়ে পাশ্বডাঙ্গা পাকা সড়ক । অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা প্রকৃতি ।

সেই সড়কের পাশেই ‘শাপলা সৈকত’। এক অপরূপ প্রাকৃতিক নিসর্গের অনুপম চারণক্ষেত্র এটি। এখানকার নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। সড়কের দু’পারে ঢেউয়ের আছড়ে পড়ার দৃশ্য দেখে মনে হবে যেন চলে এসেছেন কক্সবাজার কিংবা কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতে।

 

সড়কে দুই পাশে রয়েছে সারি সারি বৃক্ষরাজি, রয়েছে রকমারি দোকানপাট। শুধু বিকালে নয়, বিভিন্ন এলাকা থেকে সকাল থেকেই মানুষ ভিড় করে শাপলা সৈকতের নির্মল বাতাসের শ্বাস গ্রহণ করতে। ব্যয়বহুল কক্সবাজার আর কুয়াকাটার বিকল্প হিসেবে মানুষ বেছে নিয়েছে এই শাপলা সৈকত। এখানে ডিঙি নৌকায় চড়ে উপভোগ করতে পারবেন অন্যরকম এক আনন্দ। থৈ- থৈ জলরাশি আর সবুজে মোড়ানো প্রাকৃতিক শোভায় নির্মল বিশুদ্ধ বায়ু আপনাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে অন্য ভুবনে।

প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এখানে ছুটে আসে সমুদ্র সৈকতের সাধ মেটাতে। শেষ বিকেলে সৈকতে ভিড় বেড়ে যায়। দুপুর পার হলেই পর্যটকরা ছুটে আসে এই সৈকতে। এখানকার স্নিগ্ধ প্রাকৃতিক শোভায় বিকেলটা তাদের দারুন আনন্দে কেটে যায়। আছড়ে পড়া ঢেউ আর নৌকায় চড়ে বিলের জলে ছলাৎ ছলাৎ শব্দে ভেসে বেড়ানো এক অপার আনন্দের মুহূর্ত সৃষ্টি করে।

যেভাবে যাবেন শাপলা সৈকত:

ট্রেনে ঢাকা থেকে যমুনা সেতু হয়ে পাবনার বড়ালব্রীজ রেলস্টেশনে যেতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগবে। বড়ালব্রীজ রেলস্টেশনে নেমে সিএনজি অখবা অটো রিক্সাযোগে রেললাইন ঘেষে দিয়ার পাড়া জামে মসজিদ থেকে ঠিক দক্ষিণে ২/৩ মিনিট গেলেই শাপলা সৈকত ।  অথবা ঢাকা থেকে বাস যোগে পাবনার  ফরিদপুর- ভাঙ্গাড়া-চাটমোহরের সড়কে যাওয়া যায়। পাবনা শহর থেকে বাস অথবা সিএনজিতে ভাঙ্গুড়া রেলগেট পার হয়ে দিয়ারপাড়া গ্রামের মসজিদ থেকে দক্ষিন দিকে ভাঙ্গুড়া-পাশ্বডাঙ্গা পাকা সড়ক দিয়ে একটু গেলেই  পৌঁছে যাবেন  শাপলা সৈকতে ।

সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই স্থান হতে পারে দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এখানে আসে সমুদ্র সৈকতের স্বাদ নিতে। সকাল থেকেই পাবনা শহর হতে লোকজন শাপলা সৈকতে আসতে শুরু করে নির্মল বাতাসের শ্ব্বাস গ্রহণ করতে। ব্যয়বহুল কক্সবাজার আর কুয়াকাটার বিকল্প হিসেবে পাবনার মানুষ বেছে নিয়েছে এই শাপলা সৈকতকে। শুধু পাবনার অন্যান্য উপজেলা থেকেও মানুষ ছুটে আসছে এই সৈকতে। ডিঙি নৌকায় চড়ে তারা উপভোগ করছে অন্যরকম এক আনন্দ। এই সৈকত ঘিরে শত শত মানুষের কর্মের সংস্থানও হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

One response to “ভাঙ্গুড়ার “শাপলা সৈকত” অনুপম চারণক্ষেত্র”

  1. Sobuj says:

    সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ । সাংবাদিক সাহেব কে আরো যত্নশীল হতে হবে লেখার ক্ষেত্রে। সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে তারপর লিখতে হবে। বগা বিল শাপলা সৈকত স্থান বোয়ালিয়া, চাটমোহর, পাবনা। উক্ত ব্যানার অবৈধভাবে অতি উৎসাহী কিছু মানুষ টানিয়েছে।
    যাই হোক খুব শীক্রই সঠিক ব্যানার স্থাপনের ব্যাবস্থা করা হইছে। দয়া করে এই পোস্ট টা সংশোধন করে পোস্ট করবেন। ধন্যবাদ

Leave a Reply to Sobuj Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর