নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলতি দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষকদের স্থায়ীকরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গ্রেডেশন লিস্ট (জ্যেষ্ঠতা তালিকা) সংগ্রহ করা হচ্ছে। জানা গেছে, দেশের ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া আরও ২০ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। চলতি (জুলাই) মাস থেকে ধাপে ধাপে দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষকদের প্রধান পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে।
আগামী মাসের মধ্যে দেশের ১৮ হাজার শিক্ষককে পদোন্নতির আওতায় আনা হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) থেকে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিপিইর মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, সারাদেশে প্রায় ১৮ হাজারের মতো বিদ্যালয়ে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষকদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য আসনে প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্বে বসানো হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে তাদের জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তিনি বলেন, মাঠ কর্মকর্তার কাছে দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের গ্রেডেশন তালিকাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠাতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু শিক্ষকের কাগজপত্র এসেছে।
সেসব একত্রিত করে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দিয়ে জেলাভিত্তিক প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। অন্যদেরও কাগজপত্র অধিদপ্তরে চলে এলে আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে জেলাভিত্তিক সবাইকে পদোন্নতির আওতায় আনা হবে। ফসিউল্লাহ বলেন, করোনা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৪০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। সেই সাথে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্য আসনের বিপরীতে প্রধান শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু হবে