মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১০ অপরাহ্ন

ই-পেপার

সলঙ্গায় ব্রীজের অভাবে ১০ টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগ

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০, ৭:০৮ অপরাহ্ণ

কে, এম আল আমিন:

সিরাজগন্জের সলঙ্গা থানার উত্তরপাড়া ভরমোহনীর বাহাজ উদ্দীন মাস্টারের বাড়ী সংলগ্ন গাঢ়ুদহ নদীর উপর একটি ব্রীজ না থাকায় ধুবিল ও ঘুড়কা ইউনিয়নের ৮/১০ টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত ক্ষেত্রে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করতে হচ্ছে স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থীদের। নিদারুন কষ্ট করতে হচ্ছে নিত্যপণ্য কাঁচামাল ব্যবসায়ী সহ অন্যান্যদের। জরুরী রোগী নিয়ে যথা সময়ে যেতে পারছে না হাসপাতাল বা ডাক্তারের কাছে।

 

ইতিপুর্বে অনেকেই উক্ত স্থানে ব্রীজ নির্মানের আশ্বাস দিলে আজও আলোর মুখ দেখেনি। সলঙ্গা থানার ঘুড়কা ও ধুবিল ইউনিয়নের চর ধুবিল, মেহমানশাহী,চৌধুরী ঘুঘাট,খারিজা ঘুঘাট,উত্তর পাড়া ভরমোহনী, সলঙ্গার চর,জন্জালী পাড়া, জগন্নাথপুর সহ ৮/১০ টি গ্রামের হাজার হাজার পথচারী আবহমান কাল ধরে খেয়ার নৌকা, বর্তমান বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন নদী পারাপার হচ্ছে।এলাকার ভুক্তভোগী বাহাজ উদ্দীন মাস্টার বলেন,এখানে একটি ব্রীজ নির্মানের জন্য দীর্ঘদিন ধরে সরকারি দফতর সহ জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধীকবার এলাকাবাসী গণপিটিশন দিয়ে আসলেও আশ্বাস পেয়ে পরে আর খোজ খবর মেলেনি। কঠিন সমস্যায় নদী পার হওয়ার কথা চিন্তা করে এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগীতায় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বর্তমানে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মান করে কোনমতে যাতায়াত করছি। চর ধুবিলের সমাজ সেবক সানোয়ার হোসেন জানান, শুষ্ক মৌসুমে কোনমতে নদী পার হতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হতে ভোগান্তির সীমা থাকে না। এখানে একটি ব্রীজ নির্মান অতীব জরুরী। সলঙ্গার চর বাজারের ডাক্তার মোজাহারুল ইসলাম নান্নু আক্ষেপ করে জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশে আজ আমরা অবহেলিত।বাড়ী এপার,ব্যবসা করি ওপারে। বন্যার সময় নদী পার হতে চরম দুর্ভোগে পড়ি। মাত্র ৫ মিনিটের রাস্তা পার হতে না পেরে ১ কি: মি: রাস্তা ঘুরে কালীবাড়ি ব্রীজ দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।

 

স্থানীয় বেশ অনেক জন সচেতন মহল সাংবাদিকদের জানান,এলাকাবাসীর আবেদন ও যোগাযোগের প্রেক্ষিতে ২০১৮-২০১৯ ইং অর্থ বছরে ৬০ মিটার দীর্ঘ ব্রীজ নির্মানের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হয়ে পরিশুদ্ধ ভাবে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত হলে আজও আলোর মুখ দেখেনি। তাই ভুক্তভোগী এলাকাবাসী আবারও গত ১৫ সেপ্টেম্বর/২০১৯ ইং রায়গন্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত আবেদন করেন এবং গত ২৫ মার্চ /২০২০ ইং এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী, সিরাজগন্জ বরাবর আবেদন করেছেন। উক্ত নদীর পুর্ব- পশ্চিম পার্শ্বে ধুবিল ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র,ইউনিয়ন ভুমি অফিস,মেহমানশাহী হাইস্কুল, হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, শ্বশানঘাট,চর ধুবিল প্রাইমারী স্কুল,জগন্নাথপুর দাখিল মাদ্রাসা, সলঙ্গার চর বাজার সহ একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে উক্ত গাঢ়ুদহ নদীর উপর ব্রীজ নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশু পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলে ভুক্তভোগীরা জোর দাবী জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর