রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৮ অপরাহ্ন

ই-পেপার

লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত রুহিয়ার কারিগররা

দুলাল হক,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২২, ৭:৪৯ অপরাহ্ণ

শীতের আগমন এলেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন লেপ-তোষক কারিগররা। বছরের অন্যান্য সময় তারা অলস সময় কাটালেও কার্তিক মাস এলেই পুরোদমে দোকান খুলে বসেন। লেপ-তোষকের কাপড়, তুলা ও সেলাই মেশিনসহ সরঞ্জামাদী সাজিয়ে বসেন লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা।
শীত জেঁকে বসার আগেই ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার প্রত্যন্ত অঞ্চলে লেপ তোষক তৈরির ধুম পড়েছে। ক্রেতারা ভিড় জমাতে শুরু করছেন লেপ-তোষকের দোকানে। আর তাই লেপ তোষক তৈরিতে বেশ ব্যস্ত সময় পাড় করছেন রুহিয়া থানা এলাকার কারিগররা।
 দেশের উত্তরে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থান হওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ে বরাবরই শীতের প্রকোপ একটু বেশিই থাকে। এবারও আগেভাগেই শীত পড়েছে এখানে। সন্ধ্যা নামলেই গায়ে জড়াতে হচ্ছে গরম কাপড়। ফলে শীত নিবারণে এ জেলার মানুষের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে।
সরেজমিনে ঘুরে দখা যায়, রুহিয়া এলাকার ছোট বড় হাট-বাজার গুলোতে লেপ-তোষক প্রস্তুতকারি বিভিন্ন দোকান মালিক-শ্রমিক, ধুনাইকাররা এখন তুলাধুনায় ও লেপ-তোষক সেলাইয়ের কাজে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। লেপ-তোষকের দোকানগুলোতেও বাড়ছে ক্রেতাদের আনাগোনা। লেপ তৈরির অর্ডারও দিচ্ছেন অনেকে।
ধনক-কারিগর রুবেল সাহা বলেন, দিন যতই গড়াচ্ছে শীতের তীব্রতা ততই বেশি বাড়ার আশংকায় উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ নতুন নতুন লেপ তৈরি করছে। বছরের অন্যান্য সময় বেচাকেনা কম হলেও শীত মৌসুমে বিক্রি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০ টি লেপ তৈরির অর্ডার পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
রুহিয়া থানাধীন রামনাথ বাজারের লেপ-তোষক ব্যবসায়ী তাহের তুলা ঘরের মালিক তাহেরুল ইসলাম বলেন, এমাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রচুর লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার পাচ্ছি। কাজ সামাল দিতে অতিরিক্ত কারিগর রেখে দিয়েছি। চেষ্টা করছি সঠিক সময়ে গ্রাহকদের কাছে পণ্য ডেলিভারি দিতে পারবো। অর্ডার নেওয়ার পাশাপাশি অগ্রিম কিছু লেপ, বালিশ, তোষক বানিয়ে রেখেছি। ক্রেতাদের কাছে এসব রেডিমেট হিসেবে বিক্রি করি।
তিনি জানান, মজুরি হিসেবে বালিশ প্রতি পিস ৩০ টাকা, লেপ তিনশ থেকে চারশ টাকা, তোষক চারশ থেকে পাঁচশ টাকা হারে নেওয়া হয়।
কারিগর তরিকুল ইসলাম বলেন, কাজের চাপ বাড়ায় কারিগরদেরও চাহিদা বেড়েছে। এখন প্রতিদিন ১ হাজার টাকা মজুরি পাচ্ছি। শীতের তীব্রতা বাড়লে কাজের চাপ আরও বাড়বে তখন মজুরিও বাড়বে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর