সময় চলে যায়, কিন্তু কিছু মানুষের স্মৃতি রয়ে যায় চিরস্থায়ী হয়ে। এমনই একজন মানুষ ছিলেন মরহুম আব্দুল কাইয়ুম কাকা, যিনি আজ থেকে ঠিক ১৯ বছর আগে, ২০০৬ সালের ১১ আগস্ট আমাদের ছেড়ে না-ফেরার দেশে পাড়ি জমান। চাচার বাবার নাম মরহুম আইয়ুব আলী। জন্মগ্রহণ করেন টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার দুযাজানী কলেজ পাড়া গ্রামে। সেখানেই বেড়ে উঠেছেন, গড়ে তুলেছেন জীবনের ভিত্তি। মৃত্যুর পর তাঁর জানাযা নিজ এলাকার জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে তাঁকে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।এই স্মরণলিপি এসেছে তাঁর আপন বাতিজা মরহুমের বড় ভাইয়ের ছোট ছেলে ডা.এম.এ.মান্নানের হৃদয় থেকে, যিনি বড় চাচার স্নেহ, শাসন, আদর্শ ও ভালোবাসার ছায়ায় বেড়ে উঠেছেন।
বাতিজা বলেন চাচা মরহুম আব্দুল কাইয়ুম ছিলেন পরিবারের এক অন্যতম অভিভাবক। সবার খোঁজখবর রাখতেন, সবসময় পাশে দাঁড়াতেন। ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে অটল এবং সত্যের পক্ষে আপোষহীন। মসজিদের খণ্ডকালীন মোয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন, সুযোগ পেলেই আযান দিতেন। কিছুদিন প্রবাস জীবন শেষে অসুস্থ শরীর নিয়ে দেশে ফিরেন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত একজন দক্ষ ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তাঁর মৃত্যু ছিল আকস্মিক এবং হৃদয়বিদারক। সে সময় তিনি গুরুতর অসুস্থ ছিলেন না। তাঁর অকালপ্রয়াণ সেদিন পুরো পরিবার, মহল্লা এবং কর্মস্থলের সকলকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল।
বাতিজা ডা. এম. এ. মান্নান বলেন, তিনি শুধু একজন চাচা নন—তিনি ছিলেন আমার পথপ্রদর্শক, অভিভাবক। তাঁর অভাব আজও প্রতিনিয়ত অনুভব করি। তাঁর শাসন, ভালোবাসা, আর শিক্ষা আজও আমাকে জীবনে সঠিক পথে চলতে অনুপ্রাণিত করে।”
আজ ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে, মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনায় মঙ্গলবার বাদ মাগরিব, মুকতাদির হোমিও চিকিৎসা কেন্দ্র, নাগরপুর, টাঙ্গাইল-এ বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপস্থিত থাকার জন্য পরিবার থেকে আন্তরিক আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সবাইকে দোয়ার অনুরোধ জানিয়ে, ডা. এম. এ. মান্নান বলেন: হে আল্লাহ! আপনি চাচাকে ক্ষমা করুন, তাঁর প্রতি দয়া করুন, তাঁকে শান্তিতে রাখুন এবং তাঁর সকল ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতুল ফিরদাউসের সর্বোচ্চ স্থান দান করেন এবং তাঁর পরিবার ও উত্তরসূরিদের ধৈর্য ও শান্তি দান করুন,আমিন।