ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি বলেছেন, ইরানের অভ্যন্তরে সহিংসতায় উস্কানি ও সমর্থন দেওয়ার জন্য আমেরিকা এবং কানাডার কয়েকজন নাগরিক ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ওপর শিগগিরই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
সম্প্রতি ইরানের ভেতরে বিক্ষোভ প্রতিবাদ দমন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইরানের কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর আমেরিকা এবং কানাডা সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্নের জবাব দেন কানয়ানি।
তিনি বলেন, আমেরিকা এবং কানাডার কয়েকজন নাগরিক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সক্রিয় সমর্থন, তৎপরতা এবং উস্কানিতে ইরানের ভেতরে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামলা চালিয়েছে, সহিংসতা সৃষ্টি করেছে এবং ইরানি জনগণের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ইরান নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে।
গত ১৩ অক্টোবর কানাডা সরকার ইরানের ১৭ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যার মধ্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি রয়েছেন। এছাড়া, ইরানের তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কানাডা সরকার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এর আগে কানাডা সরকার একই অভিযোগে ইরানের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
গত সপ্তাহে ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় বলেছে, দেশের সাম্প্রতিক সহিংসতায় আমেরিকায় এবং ব্রিটেন সরাসরি জড়িত রয়েছে। এছাড়া সহিংসতায় জড়িত থাকার দায়ে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে এমন কয়েক ডজন সন্ত্রাসী আটক হয়েছে। পাশাপাশি ইসলামি বিপ্লববিরোধী বিভিন্ন গোষ্ঠীর বহু সংখ্যক সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
এছাড়া, শনিবার (২৯ অক্টোবর) ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় এবং আইআরজিসি এক বিবৃতিতে বলেছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোর সহিংসতায় মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ বড় ভূমিকা পালন করেছে। সূত্র : পার্সটুডে।