সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তা করার অপরাধে স্থানীয় ইউপি সদস্য জিন্নাহ মেম্বরকে আটক করেছে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া শিক্ষার্থী ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী নিজেই বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার প্রেক্ষিতে উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জিন্নাহ মেম্বরকে স্থানীয় বন্যাকান্দি বাজার এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। আটক জিন্নাহ বন্যাকান্দি গ্রামের সাহেদ আলীর ছেলে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন – বন্যাকান্দি গ্রামের হযরত আলীর ছেলে সবুজ (৩৫), মৃত দারোগ আলীর ছেলে হযরত আলী (৫৮) ও আব্দুর রশিদ (৪৮)।
উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পরির্দশক আব্দুস সালাম জানান, একই গ্রামের হযরত সরদারের ছেলে ধর্ষক সবুজ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর প্রতিবেশি ও পূর্ব পরিচিত আত্মীয়। মাঝে মধ্যেই তাদের বাড়ীতে যাতায়াত করতো সবুজ। বিভিন্ন সময়ে লম্পট সবুজ মেয়েটিকে পোশাক ও গহনা বানিয়ে দেওয়ার লোভ দেখাতো। ঘটনার দিন মেয়েটি তার বৃদ্ধা দাদির সঙ্গে রাত্রিতে ঘরে ঘুমাচ্ছিলো। এ সময় ধর্ষক ঘরের ভাঙ্গা জানালা দিয়ে চুপিসারে ঢুকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে পাশের নদীপারে নিয়ে গিয়ে সোমবার রাতে জোড়পূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের ঘটনা লোকমুখে জানাজানি হলে ধর্ষক সবুজ বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর চাচী সাবিনা ইয়াসমিন জানান, মেয়েটি বন্যাকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থী। ঘটনার সময় মেয়েটি তার শয়ন ঘরে ঘুমাচ্ছিল এ সময় ধর্ষক সবুজ সুকৌশলে ঘরের জানালা দিয়ে ঢুকে মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে বাহিরে নিয়ে যৌন উত্তেজক তিনটি ট্যাবলেট সেবন করায়। পরে তাকে জোড় পূর্বক একাধিক বার ধর্ষণ করে ওই লম্পট। এ ঘটনায় বিচার দিতে চেয়ে তালবাহানা করে মামলার অন্য আসামিরা।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেন জানান, এলাকাবাসীর কাছ থেকে ধর্ষণ ঘটনার অভিযোগ পেয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশকে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, পুলিশ ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। বুধবার সকালে এ মামলার গ্রেফতারকৃত আসামি জিন্নাহ মেম্বরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।