চাটমোহরে বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত পানি ও বৃষ্টির অভাবে জমি শুকিয়ে আবাদকৃত আমন ধান মরে যাচ্ছে। গরু-ছাগলের খাদ্য হিসেবে সেই ধান গাছ ব্যবহার করছেন কৃষকেরা। বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত পানি ও বৃষ্টির অভাবে এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে চলনবিল অঞ্চলে।
শ্রাবণ শেষে ভাদ্র মাসের দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও বৃষ্টি দেখা না দেওয়ায় চাটমোহর সহ চলনবিলের বিভিন্ন উপজেলার কৃষকেরা চলতি রোপা ও বোনা আমন ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। আষাঢ়-ভাদ্রের ভরা মৌসুমে মাঠে থৈ থৈ পানি থাকলেও এবার তীব্র তাপদাহে মাঠে পানি না থাকায় জমি শুকিয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী কৃষকেরা বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও বোনা ও রোপা আমন ধানের আবাদ করেছি। আবাদ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু জমিতে পানি নেই। বিগত বছরে এ সময় আমন ধানের গাছ পানিতে ভাসত। এমনকি ধান পাকার পর পানির মধ্যেই কাটা হতো। তারা আরো বলেন, শ্রাবণ-আশ্বিন মাসেও মাঠে ও বিলে পানিতে থাকে। কিন্তু চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন, এখন ভাদ্র মাস তবুও পানি শুন্য চলনবিল। কোথাও পর্যাপ্ত পানি নেই। আমন ধানের গাছ মাটিতে পড়ে গেছে। আবার অনেক স্থানে শুকিয়ে মারা যাচ্ছে। বোনা আমন ধান এখন পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছি।
উপজেলার খৈরাশ গ্রামের সামছুল হক সরদার বলেন, চলতি মৌসুমে পর্যাপ্ত পানি ও বৃষ্টির অভাবে রোপা আমন ধান নিয়ে কৃষক বিপাকে পড়েছে। শ্যালো মেশিনে পানি সেচ দিয়ে কৃষক রোপা চাষ করছে। এতে বাড়র্তি টাকা গুনতে হচ্ছে কৃষককে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় বোনা আমন ৯ হাজার ৩০০ হেক্টর ও রোপা আমন ৭ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। পানির অভাবে ইতিমধ্যেই উপজেলায় প্রায় ২শ হেক্টর জমির আমন ধান গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বলে সূত্রে জানাযায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ.এ.মাসুমবিল্লাহ বলেন, এবার চাটমোহরে ভরা বর্ষাতেও পানি আসেনি। বোনা আমন ধানের জমি শুকিয়ে গেছে, ফসলের ক্ষতি হয়েছে। রোপা আমন নিয়েও সমস্যায় পড়েছেন কৃষক। পানির অভাবে ক্ষতির সম্মুখিন চাষিরা। পানি নির্ভর এসকল ফসল নিয়ে তাই সবারই দুশ্চিন্তা।