বিনা অনুমতিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত শিক্ষক এবং তাদের দেখভাল করা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিদ্যালয়-১ অধিশাখা) মোহাম্মদ কামাল হোসেনের সই করা অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের অননুমোদিত অনুপস্থিতির বিষয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত কতিপয় শিক্ষক অনুমোদন ব্যতীত কিংবা অনুমোদিত ছুটি শেষ হওয়ার পরও কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকছেন। ফলে শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং প্রশাসনিক শৃঙ্খলা লঙ্ঘিত হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষক বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। ফলে বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটছে এবং যথাযথভাবে একাডেমিক সুপারভিশন হচ্ছে না। এ ধরনের অনিয়মের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের গোচরীভূত করা হচ্ছে না, ফলে দায়ী ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না।
এমন পরিস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক, সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারেন না।
এতে আরও বলা হয়, অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত শিক্ষকসহ দায়িত্বে অবহেলাকারী সংশ্লিষ্ট শিক্ষক/কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট বিধি অনুসারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক এ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। অনুমোদিত অনুপস্থিতির বিষয়ে আগামী ৭ দিনের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।