সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় চাউল,কাঁচা মরিচ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল। কাঁচা মরিচের ঝাঁজে বাজার গরম হয়ে উঠেছে। কাঁচা মরিচের পাশাপাশি বেগুন,পটল,ঢেড়শ,মুখী,পেঁপে,পেয়াজ,রশুন,আদা, ঝিঙে সহ অন্যান্য সব ধরনের সবজির দাম এখন নাগালের বাইরে। ৪০-৫০ টাকা কেজি দরের কাঁচা মরিচ কিনতে হচ্ছে ২২০-২৪০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে চাউলের বস্তায় গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ধানের দাম বাড়ার অজুহাতে চালের দর বেশি নিচ্ছেন মিলাররা। তবে সরকারের মজুতকৃত চাল খোলাবাজারে ছেড়ে দিলে চালের দাম কমবে জানান ব্যবসায়ীরা। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, চালের দাম বাড়ার কারনে আমাদের বেচাকেনা কমে গেছে। অনেক ব্যবসায়ী আবার জানান,চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম এবং জ্বালানী তেলের মুল্য বৃদ্ধির কারনে সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। এদিকে চাউল,কাঁচামরিচের পাশাপাশি সব ধরনের কাঁচা বাজারের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। বাজারে ঢুকলে যেন দামের ফারাক মেলাতে গিয়ে মাথায় হাত উঠছে ক্রেতাদের। নিয়মিত বাজার মনিটরিং না করায় পাগলা ঘোড়ার মত নিত্যপণ্যের বাজার লাফিয়ে বাড়ছে বলে অনেকেই দায়ি করেন।
জেলার অন্যতম ব্যবসায়ী কেন্দ্র সলঙ্গা বাজার এবং থানার ৬ টি ইউনিয়নের নলকা হাট, সাহেবগঞ্জ হাট,ঘুড়কা হাট,ভুইয়াগাতী হাট,উনুখা হাট,পাঁচলিয়া হাট,হাটিকুমরুল রোডসহ উল্লেখযোগ্য ব্যবসা এলাকাগুলোতে চলছে এ অস্থিরতা।
সলঙ্গা বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মালতি নগরের একজন ক্রেতা বলেন, প্রতিনিয়তই চাল,ডাল, তেল,কাঁচাবাজারের দাম হুহু করে বাড়তেই আছে। আমরা দিন আনি দিন খাই। এমনটা হলে আমরা কিভাবে পরিবার চালাব ?
সরকারি দলের স্থানীয় এক নেতা জানান, সরকারের হাতে যে পরিমাণ চাল মজুদ রয়েছে,সে চাল খোলাবাজারে ছাড়লেই আর চালের বাজারে অস্থিরতা থাকবে না।
চাউলের পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় চরম হতাশায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।