নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ৩ নং খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদের সকল মেম্বারদের জন্য নিজস্ব আলাদা আলাদা চেম্বার স্থাপন করেছেন অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন।
অত্র ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় ১২ টি মেম্বারকে ৩ টি কক্ষে ভাগ করে সংরক্ষিত আসনের ০১ জন মহিলা মেম্বার সহ ০৩ জন পুরুষ মেম্বার নিয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করে চেম্বার স্থাপন করেন। এছাড়াও অত্র ইউনিয়ন পরিষদের অবকাঠামো সংস্কার ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ফুলের বাগান তৈরী সহ অনেক কাজ করেছেন।
অত্র ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত ইউঃপিঃ সদস্যরা বলেন, আলাদা আলাদা নিজস্ব চেম্বার পেয়ে জনগনদের সঠিক ভাবে সেবা দিতে পারছেন বলে তারা আনন্দিত, তারা একেঅপরে পরামর্শক্রমে ও আন্তরিকতার সহিত কাজ করছেন। তারা আরও বলেন, জনগণের নানান ধরনের ছোট খাটো সমস্যা আমরা মেম্বারগণ আমাদের চেম্বার বসে সমাধান করি। এছাড়াও পরিষদের বরাদ্দ ও বিভিন্ন কাজকর্মে চেয়ারম্যান মহোদয় আমাদেরকে সমান সমান ভাগ করে আমাদের প্রাপ্য অধিকার বুঝিয়ে দেন তাই আমরা চেয়ারম্যান মহোদয় কে নিয়ে গর্ববোধ করি ও চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানান।
এ বিষয়ে ”চলনবিলের আলো পত্রিকার প্রতিবেদক কে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন জানান, আমি নির্বাচিত হওয়ার পরে যখন দেখলাম আমার মেম্বারদের বসার কোনো জায়গায় নেই আমি তাদের সন্মান বজায় রাখার জন্য এবং তারা যেন জনগণকে সঠিক ভাবে ও সুন্দর করে সেবা প্রদান করতে পারেন ও জনগণ যেনও কোনো প্রকার হয়রানি শিকার না হয় তারজন্য আমি এমন উদ্যোগ নিয়েছি।
উল্লেখ্য যে, তিনি নাটোর জেলায় সর্ব প্রথম মেম্বারদের আলাদা আলাদা করে বাসার জন্য চেম্বার স্থাপন করে নজীর স্থাপন করেছেন। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ও ৩নং খাজুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, গত ০৫/০১/২২ইং তারিখ এ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নৌকা প্রতীক নিয়ে বিএনপির প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বিজয় লাভ করেন এবং ইতিমধ্যে তার দ্বায়িত্ব, কর্তব্য, পরিশ্রম ও উন্নয়ন মূলক কাজের সফলতা দিয়ে জনগণের মধ্যে ব্যাপক বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করেছেন। ওনার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য যে খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদ কে সর্ব স্থলে নিরাপত্তার চাদরে শান্তি প্রিয় আধুনিক ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে রুপদান করবেন। এছাড়াও তিনি তার ইউনিয়নের সাত কন্যা জমিদার বাড়ি সহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র/দর্শনীয় স্থান গুলো সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ও বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন মূলক কাজ হাতে নিয়েছেন।
তার এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ দেখে উপজেলা সহ জেলায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।