সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৯ অপরাহ্ন

ই-পেপার

বড়াইগ্রামে পরীক্ষা ছাড়া অপারেশনে নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

সুজন কুমার,নাটোর প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০২২, ৭:৩১ অপরাহ্ণ

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার হাসপাতালে পরীক্ষা ছাড়া অপারেশন করে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে জোনাইলের ওআরখান মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও ডায়গনিষ্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মেহতাজুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
নবজাতকের বাবার নাম আলমগীর হোসেন (৪০) মা আছিয়া বেগম (৩৫)। তারা দ্বারিকুশী প্রতাবপুর গ্রামের দম্পতি।
আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, অনেক বছর যাবত বিয়ে। দশ বছর পরে তাদের একটি সন্তান গর্ভে আসে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে স্ত্রীর পেটের ব্যথা অনুভব করে। বিকেলে ওআরখান মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও ডায়গনিষ্টিক সেন্টারের ভর্তি করি। কিছুক্ষনের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ডলি রানী অপারেশন করেন। আমি বললেও তারা কোন পরীক্ষা নিরিক্ষা করে নাই। আমার নিকট থেকে সাদা সম্মতি পত্রে সাক্ষর নেন। কয়েক মিনিট পরেই জানায় তার স্ত্রী মৃত বাচ্চা হয়েছে। বাচ্চা নাকি পেটের ভেতর ২দিন আগেই মারা গেছে।
তিনি আরো বলেন, ১৫ দিন আগে আমার স্ত্রীকে এই হাসপাতালে ডাঃ ডলি রানী পরীক্ষা করে শিশুটি সুস্থ্য আছে এবং দুই সপ্তাহ পর সিজার করার কথা জানান।
হাসপাতালটির জেনারেল ম্যানেজার কামরুজ্জামান স্বপন বলেন, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ফাইজুন নাহার দৃষ্টির তত্ত্বাবধায়নে ভর্তি করানো হয়। পরে অভিভাকের অনুমতি সাপেক্ষে ডাঃ ডলি রানী সিজারিয়ান অপারেশন করেন।
তবে সাদা সম্মতি পত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কোন কথা বলেন নাই।
ডাঃ ডলি রানী বলেন, আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখি রোগী অপারেশন থিয়েটারে অজ্ঞাণ করা এবং বাচ্চার কোন পালস্ নেই। অজ্ঞানের বিষয়ে ডাঃ আসিফকে আমি রোগির লোকজনকে জানানো হয়েছে কিনা বা পরীক্ষা নিরিক্ষার কাগজ দেখতে চাইলে জানান যে রোগির লোক পরীক্ষা করাবে না এবং তারা জানে এবং সম্মতি পত্রে সাক্ষর করেছে। আমি তো অজ্ঞান করা রোগীকে নিচে নামিয়ে আলট্রাস্নোগ্রাম করাতে পারি না। যেহেতু অপারেশন করেই বাচ্চা বের করতে হবে তাই বাধ্য হয়েই আমি সিজার করেছি।
অজ্ঞানের বিষয়ে ডাঃ আসিফ বলেন, সকল পরিক্ষা করেই অপারেশন করা হয়েছে। তার তথ্য আমার সেল ফোনে সংরক্ষণ আছে। আপনি নিউজ করলে মামলা করা হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তারা আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করলে উর্ধোতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর