সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আব্দুল হাকিম নামের এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে প্রায় এক মাস যাবত দুটি পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এতে করে পরিবার দুটির সদস্যরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার বারুহাঁস ইউনিয়নের সান্দা গ্রামে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের হাসেন আলীর ছেলে মো, হারুনর রশিদ ও তার জামাতা মো. আব্দুল মমিন গ্রামের বান পুকুর নামক এক পুকুরের পাড়ে নিজ ভিটায় বসবাস করে আসছেন। আর সরকারী খাসকৃত ওই পুকুরের পাড় কে তারা রাস্তা হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবহারও করছেন।
কিন্তু সম্প্রতি একই গ্রামের মৃত হাসেন আলীর ছেলে প্রভাবশালী মো. আব্দুল হাকিম পারিবারিক শত্রæতার জের ধরে ওই দুটি পরিবারের সদস্যদের চলাচলের রাস্তায় বাঁশ ও নেটের বেড়া দিয়ে তা বন্ধ করে দিয়েছেন।
ফলে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ হওয়ায় মো, হারুনর রশিদ ও তার জামাতা মো. আব্দুল মমিনের পরিবারের সদস্যরা মাসাধীক কাল ধরে পুকুরের মধ্য দিয়ে নৌকা নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ছাড়া ওই রাস্তা দিয়ে গ্রামের আরো কৃষক তাদের জমির ফসল আনা নেওয়ার কাজে এতদিন ব্যবহার করলেও তারাও এখন বিকল্প রাস্তায় অনেক পথ ঘুরে তবেই ফসল নিয়ে বাড়ি যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
ভুক্তভোগী মো, হারুনর রশিদ জানান, আব্দুল হাকিম শত্রæতা করে রাস্তাটি বন্ধ করেছেন। এতে করে আমাদের দুই পরিবারের সদস্যরা শুকনা রাস্তা থাকলেও নৌকা নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছি। এমনকি আমরা অররুদ্ধ হয়ে পরায় খামারের মুরগির পর্যন্ত বিক্রি করতে পারছিনা না। ছেলে মেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে নৌকায়।
অবশ্য আব্দুল হাকিম রাস্তা বন্ধ প্রসঙ্গে বলেন, রাস্তাটি আসলে আমার রেকডীয় সম্পতি। এতদিন তারা চলাচল করেছেন্ আমি কিছু বলিনি। কিন্তু এখন আমি আমার জায়গায় আমার মত করে কাজ করব।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বারুহাঁস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী আব্দুল মমিন আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। আর আমি তৎ¶নাৎ সেখানে লোক পাঠিয়ে আব্দুল হাকিমের মাটি কাটার ভেকু মেশিন বন্ধ করে দিয়েছি। পাশাপাশি অল্প সময়ে বিষয়টি নিয়ে বাদী বিবাদীদের সাথে করে পরিষদে বসে সমাধান করে দিবো।