সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
অভয়নগরে সৌন্দর্য বিলাচ্ছে মাঠভরা হলুদ, সরিষার ব্যাপক ফলনের সম্ভাবনা; কৃষকের মুখে হাসি সড়কের ব্রিজ ভেঙ্গে মরণফাঁদ চরম  দুর্ভোগে পথচারীরা বাগেরহাটে উন্নত পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ ও ব্যবস্থাপনা শীর্ষক কর্মশালা উদ্ভোধন সাতক্ষীরায় সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলায় ৪ দিন অতিবাহিত,আটক হয়নি সন্ত্রাসী রমজান বাহিনীর প্রধান দৌলতপুরে বিজয় দিবস উপলক্ষে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন  অভয়নগরে সাবেক চেয়ারম্যান কামাল গ্রেফতার “ইউনিলিভার বাংলাদেশ ও কেওক্রাডং বাংলাদেশ এর উদ্যোগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে হলো ‘কোস্টাল ক্লিনআপ’” বীরগঞ্জে এ্যালামনাই এসোসিয়েশন সেমিনার অনুষ্ঠিত

ইসলামে কোরবানীর গুরুত্ব ও ফজীলাত – মাওলানাঃ শামীম আহমেদ

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: বুধবার, ২২ জুন, ২০২২, ৮:৩৮ অপরাহ্ণ

কুরবুন বা কোরবানি অর্থ আত্মত্যাগ, উৎসর্গ বা বিসর্জন ইত্যাদি। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহর নামে কোনো কিছু উৎসর্গ করার নামই কোরবানি। প্রচলিত অর্থে কোরবানি হলো পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে মহান রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তির নির্দিষ্ট জানোয়ার জবেহ করা। সূরা হাজ-এ মহান রাব্বুল আলামীন ঘোষণা করেন, আমি প্রত্যেক জাতির ওপর কোরবানির নিয়ম করেছি যাতে তারা চুতষ্পদ জন্তু জবেহ করে এবং আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। সেইসাথে সূরা কাওসারে বলা হয়, তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করো এবং কোরবানি করো।

কোরবানির উদ্দেশ্য

কোরবানির মুখ্য উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জন করা। তাকওয়ার মাধ্যমেই আত্মা পরিশুদ্ধ হয়। সূরা আল-আনআম এর ১৬২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ’তায়ালা বলেন, বলো, আমার সালাত, আমার হজ ও কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ সবই বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর উদ্দেশ্যে। কোরবানি আমাদের শিক্ষা দেয় আল্লাহর প্রেমে পূর্ণ তাকওয়া নিয়ে কোরবানি করতে হবে। জিলহজ মাসের দশ, এগারো, বারো তারিখ মুসলিম বিশ্বের সর্বত্র এ কোরবানির উৎসব বা ঈদুল আজহা শুধু প্রতীকী অনুষ্ঠান মাত্র নয়। মনের গভীরে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও তাকওয়া নিয়ে প্রিয় বস্তু তাঁর নামে উৎসর্গ করাই এর উদ্দেশ্য। আল্লাহর কাছে কোরবানির পশুর গোশত ও রক্ত কিছুই পৌঁছায় না। কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহকে রাজি-খুশি করা, তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনই হলো মুখ্য উদ্দেশ্য। আল্লাহ বলেন, আমার কাছে এগুলোর গোশত ও রক্ত পৌঁছে না, পৌঁছে শুধু তোমাদের মনের তাকওয়া।

ফজিলত ও গুরুত্ব

কোরবানির দিন কোরবানি করা মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে সবচেয়ে বেশি পছন্দের। কোরবানির পশুর রক্ত ভূমিতে পতিত হওয়ার আগেই আল্লাহ’তালার দরবারে কবুল হয়ে যায়। নবী করীম (সাঃ) বলেন, কোরবানির পশুর যত পশম থাকে তার পরিবর্তে ৩৩টি পুণ্য লেখা হয়ে থাকে। হজরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত এক হাদীস থেকে জানা যায় নবী করীম (সাঃ) বলেন, কোরবানির দিন রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে প্রিয় কোনো আমল আল্লাহর কাছে নেই। কোরবানিকারী কিয়ামতের দিন জবেহকৃত পশুর লোম, শিং, ক্ষুর, পশম ইত্যাদি নিয়ে আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে। সেইসাথে কোরবানির গুরুত্ব সম্পর্কে হজরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণিত এক হাদীস থেকে জানা যায় নবী করীম (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তির সামর্থ থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়।

কোরবানির শিক্ষা

মানব জীবনে কোরবানির মূল শিক্ষা সমাজের অভাবগ্রস্তদের সহমর্মিতার প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পারস্পরিক সৌহার্দ প্রতিষ্ঠা করা। সেইসাথে আল্লাহর রাস্তায় মানুষের আপন সম্পদ উৎসর্গ করা। যিনি যত পরিমাণ সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করবেন। তিনি আল্লাহর তত নৈকট্য লাভ করবেন। কোরবানির ত্যাগ বা উৎসর্গ একটি বড় ইবাদত। কোরবানির তাৎপর্য হল আমাদের ভেতরের পশুত্ব, নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা ও বীভৎসতাকে দূর করা। অন্তরের মধ্যে বসবাসকারী পশুকে জবাই করা। এবং সেই সাথে হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা বিসর্জন দিয়ে মানবতা ও ভ্রাতৃত্বোধে উজ্জীবিত হওয়া। এটাই বান্দার কাছে পবিত্র কোরবানির মহান শিক্ষা। এতে করে আমাদের মনে আত্মশুদ্ধি আসবে। সেইসাথে অর্জিত হবে মনের তাকওয়া। আল্লাহর প্রেম শুধু কোরবানির দিনে সীমাবদ্ধ না রেখে, আজীবন অব্যাহত রাখতে হবে। সর্বক্ষণ মনে জাগ্রত রাখতে হবে কোরবানির মহান শিক্ষাকে। সেইসাথে কোরবানি শিরক থেকে মুক্ত থাকার একটি কার্যকরী মাধ্যম। ইসলাম মুসলিমদের কোরবানির বিধান দিয়ে তাওহীদ তথা একত্ববাদের বিশ্বাসকে উজ্জ্বল ও দৃঢ় করণের পাশাপাশি এই শিক্ষাও দেওয়া হয়েছে যে এসব সৃষ্টি করা হয়েছে কোরবানি করে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য। এর দ্বারা একদিকে যেমন তাওহীদের বিশ্বাস শাণিত হয়। তেমনি মানুষকে ইসলামের মহান আদর্শে উদ্বুদ্ধ করা সম্ভব। কোরবানির মাধ্যমে নিজেদের বিবেককে জাগিয়ে তোলা প্রয়োজন। আর তবেই আমাদের পৃথিবী হয়ে উঠবে সুন্দর, শান্তিময় ও নিরাপদ

কুকুরবুন বা কোরবানি অর্থ আত্মত্যাগ, উৎসর্গ বা বিসর্জন ইত্যাদি। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহর নামে কোনো কিছু উৎসর্গ করার নামই কোরবানি। প্রচলিত অর্থে কোরবানি হলো পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে মহান রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তির নির্দিষ্ট জানোয়ার জবেহ করা। সূরা হাজ-এ মহান রাব্বুল আলামীন ঘোষণা করেন, আমি প্রত্যেক জাতির ওপর কোরবানির নিয়ম করেছি যাতে তারা চুতষ্পদ জন্তু জবেহ করে এবং আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। সেইসাথে সূরা কাওসারে বলা হয়, তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করো এবং কোরবানি করো।

কোরবানির উদ্দেশ্য

কোরবানির মুখ্য উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জন করা। তাকওয়ার মাধ্যমেই আত্মা পরিশুদ্ধ হয়। সূরা আল-আনআম এর ১৬২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ’তায়ালা বলেন, বলো, আমার সালাত, আমার হজ ও কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ সবই বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর উদ্দেশ্যে। কোরবানি আমাদের শিক্ষা দেয় আল্লাহর প্রেমে পূর্ণ তাকওয়া নিয়ে কোরবানি করতে হবে। জিলহজ মাসের দশ, এগারো, বারো তারিখ মুসলিম বিশ্বের সর্বত্র এ কোরবানির উৎসব বা ঈদুল আজহা শুধু প্রতীকী অনুষ্ঠান মাত্র নয়। মনের গভীরে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও তাকওয়া নিয়ে প্রিয় বস্তু তাঁর নামে উৎসর্গ করাই এর উদ্দেশ্য। আল্লাহর কাছে কোরবানির পশুর গোশত ও রক্ত কিছুই পৌঁছায় না। কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহকে রাজি-খুশি করা, তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনই হলো মুখ্য উদ্দেশ্য। আল্লাহ বলেন, আমার কাছে এগুলোর গোশত ও রক্ত পৌঁছে না, পৌঁছে শুধু তোমাদের মনের তাকওয়া।

ফজিলত ও গুরুত্ব

কোরবানির দিন কোরবানি করা মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে সবচেয়ে বেশি পছন্দের। কোরবানির পশুর রক্ত ভূমিতে পতিত হওয়ার আগেই আল্লাহ’তালার দরবারে কবুল হয়ে যায়। নবী করীম (সাঃ) বলেন, কোরবানির পশুর যত পশম থাকে তার পরিবর্তে ৩৩টি পুণ্য লেখা হয়ে থাকে। হজরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত এক হাদীস থেকে জানা যায় নবী করীম (সাঃ) বলেন, কোরবানির দিন রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে প্রিয় কোনো আমল আল্লাহর কাছে নেই। কোরবানিকারী কিয়ামতের দিন জবেহকৃত পশুর লোম, শিং, ক্ষুর, পশম ইত্যাদি নিয়ে আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে। সেইসাথে কোরবানির গুরুত্ব সম্পর্কে হজরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণিত এক হাদীস থেকে জানা যায় নবী করীম (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তির সামর্থ থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়।

কোরবানির শিক্ষা

মানব জীবনে কোরবানির মূল শিক্ষা সমাজের অভাবগ্রস্তদের সহমর্মিতার প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পারস্পরিক সৌহার্দ প্রতিষ্ঠা করা। সেইসাথে আল্লাহর রাস্তায় মানুষের আপন সম্পদ উৎসর্গ করা। যিনি যত পরিমাণ সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করবেন। তিনি আল্লাহর তত নৈকট্য লাভ করবেন। কোরবানির ত্যাগ বা উৎসর্গ একটি বড় ইবাদত। কোরবানির তাৎপর্য হল আমাদের ভেতরের পশুত্ব, নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা ও বীভৎসতাকে দূর করা। অন্তরের মধ্যে বসবাসকারী পশুকে জবাই করা। এবং সেই সাথে হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা বিসর্জন দিয়ে মানবতা ও ভ্রাতৃত্বোধে উজ্জীবিত হওয়া। এটাই বান্দার কাছে পবিত্র কোরবানির মহান শিক্ষা। এতে করে আমাদের মনে আত্মশুদ্ধি আসবে। সেইসাথে অর্জিত হবে মনের তাকওয়া। আল্লাহর প্রেম শুধু কোরবানির দিনে সীমাবদ্ধ না রেখে, আজীবন অব্যাহত রাখতে হবে। সর্বক্ষণ মনে জাগ্রত রাখতে হবে কোরবানির মহান শিক্ষাকে। সেইসাথে কোরবানি শিরক থেকে মুক্ত থাকার একটি কার্যকরী মাধ্যম। ইসলাম মুসলিমদের কোরবানির বিধান দিয়ে তাওহীদ তথা একত্ববাদের বিশ্বাসকে উজ্জ্বল ও দৃঢ় করণের পাশাপাশি এই শিক্ষাও দেওয়া হয়েছে যে এসব সৃষ্টি করা হয়েছে কোরবানি করে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য। এর দ্বারা একদিকে যেমন তাওহীদের বিশ্বাস শাণিত হয়। তেমনি মানুষকে ইসলামের মহান আদর্শে উদ্বুদ্ধ করা সম্ভব। কোরবানির মাধ্যমে নিজেদের বিবেককে জাগিয়ে তোলা প্রয়োজন। আর তবেই আমাদের পৃথিবী হয়ে উঠবে সুন্দর, শান্তিময় ও নিরাপদরবুন বা কোরবানি অর্থ আত্মত্যাগ, উৎসর্গ বা বিসর্জন ইত্যাদি। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহর নামে কোনো কিছু উৎসর্গ করার নামই কোরবানি। প্রচলিত অর্থে কোরবানি হলো পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে মহান রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তির নির্দিষ্ট জানোয়ার জবেহ করা। সূরা হাজ-এ মহান রাব্বুল আলামীন ঘোষণা করেন, আমি প্রত্যেক জাতির ওপর কোরবানির নিয়ম করেছি যাতে তারা চুতষ্পদ জন্তু জবেহ করে এবং আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। সেইসাথে সূরা কাওসারে বলা হয়, তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করো এবং কোরবানি করো।

কোরবানির উদ্দেশ্য

কোরবানির মুখ্য উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জন করা। তাকওয়ার মাধ্যমেই আত্মা পরিশুদ্ধ হয়। সূরা আল-আনআম এর ১৬২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ’তায়ালা বলেন, বলো, আমার সালাত, আমার হজ ও কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ সবই বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর উদ্দেশ্যে। কোরবানি আমাদের শিক্ষা দেয় আল্লাহর প্রেমে পূর্ণ তাকওয়া নিয়ে কোরবানি করতে হবে। জিলহজ মাসের দশ, এগারো, বারো তারিখ মুসলিম বিশ্বের সর্বত্র এ কোরবানির উৎসব বা ঈদুল আজহা শুধু প্রতীকী অনুষ্ঠান মাত্র নয়। মনের গভীরে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও তাকওয়া নিয়ে প্রিয় বস্তু তাঁর নামে উৎসর্গ করাই এর উদ্দেশ্য। আল্লাহর কাছে কোরবানির পশুর গোশত ও রক্ত কিছুই পৌঁছায় না। কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহকে রাজি-খুশি করা, তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনই হলো মুখ্য উদ্দেশ্য। আল্লাহ বলেন, আমার কাছে এগুলোর গোশত ও রক্ত পৌঁছে না, পৌঁছে শুধু তোমাদের মনের তাকওয়া।

ফজিলত ও গুরুত্ব

কোরবানির দিন কোরবানি করা মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে সবচেয়ে বেশি পছন্দের। কোরবানির পশুর রক্ত ভূমিতে পতিত হওয়ার আগেই আল্লাহ’তালার দরবারে কবুল হয়ে যায়। নবী করীম (সাঃ) বলেন, কোরবানির পশুর যত পশম থাকে তার পরিবর্তে ৩৩টি পুণ্য লেখা হয়ে থাকে। হজরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত এক হাদীস থেকে জানা যায় নবী করীম (সাঃ) বলেন, কোরবানির দিন রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে প্রিয় কোনো আমল আল্লাহর কাছে নেই। কোরবানিকারী কিয়ামতের দিন জবেহকৃত পশুর লোম, শিং, ক্ষুর, পশম ইত্যাদি নিয়ে আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে। সেইসাথে কোরবানির গুরুত্ব সম্পর্কে হজরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণিত এক হাদীস থেকে জানা যায় নবী করীম (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তির সামর্থ থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়।

কোরবানির শিক্ষা

মানব জীবনে কোরবানির মূল শিক্ষা সমাজের অভাবগ্রস্তদের সহমর্মিতার প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পারস্পরিক সৌহার্দ প্রতিষ্ঠা করা। সেইসাথে আল্লাহর রাস্তায় মানুষের আপন সম্পদ উৎসর্গ করা। যিনি যত পরিমাণ সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করবেন। তিনি আল্লাহর তত নৈকট্য লাভ করবেন। কোরবানির ত্যাগ বা উৎসর্গ একটি বড় ইবাদত। কোরবানির তাৎপর্য হল আমাদের ভেতরের পশুত্ব, নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা ও বীভৎসতাকে দূর করা। অন্তরের মধ্যে বসবাসকারী পশুকে জবাই করা। এবং সেই সাথে হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা বিসর্জন দিয়ে মানবতা ও ভ্রাতৃত্বোধে উজ্জীবিত হওয়া। এটাই বান্দার কাছে পবিত্র কোরবানির মহান শিক্ষা। এতে করে আমাদের মনে আত্মশুদ্ধি আসবে। সেইসাথে অর্জিত হবে মনের তাকওয়া। আল্লাহর প্রেম শুধু কোরবানির দিনে সীমাবদ্ধ না রেখে, আজীবন অব্যাহত রাখতে হবে। সর্বক্ষণ মনে জাগ্রত রাখতে হবে কোরবানির মহান শিক্ষাকে। সেইসাথে কোরবানি শিরক থেকে মুক্ত থাকার একটি কার্যকরী মাধ্যম। ইসলাম মুসলিমদের কোরবানির বিধান দিয়ে তাওহীদ তথা একত্ববাদের বিশ্বাসকে উজ্জ্বল ও দৃঢ় করণের পাশাপাশি এই শিক্ষাও দেওয়া হয়েছে যে এসব সৃষ্টি করা হয়েছে কোরবানি করে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য। এর দ্বারা একদিকে যেমন তাওহীদের বিশ্বাস শাণিত হয়। তেমনি মানুষকে ইসলামের মহান আদর্শে উদ্বুদ্ধ করা সম্ভব। কোরবানির মাধ্যমে নিজেদের বিবেককে জাগিয়ে তোলা প্রয়োজন। আর তবেই আমাদের পৃথিবী হয়ে উঠবে সুন্দর, শান্তিময় ও নিরাপদ

———- Forwarded message ———
From: Shamim ahamad <shamimahamad9071@gmail.com>
Date: Tue, 21 Jun 2022, 15:10
Subject:
To: <pabnar.allo@gmail.com>

ইসলামের কোরবানীর গুরুত্ব ও ফজীলাত

//মাওলানাঃ শামীম আহমেদ //

কুরবুন বা কোরবানি অর্থ আত্মত্যাগ, উৎসর্গ বা বিসর্জন ইত্যাদি। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহর নামে কোনো কিছু উৎসর্গ করার নামই কোরবানি। প্রচলিত অর্থে কোরবানি হলো পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে মহান রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তির নির্দিষ্ট জানোয়ার জবেহ করা। সূরা হাজ-এ মহান রাব্বুল আলামীন ঘোষণা করেন, আমি প্রত্যেক জাতির ওপর কোরবানির নিয়ম করেছি যাতে তারা চুতষ্পদ জন্তু জবেহ করে এবং আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। সেইসাথে সূরা কাওসারে বলা হয়, তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করো এবং কোরবানি করো।

কোরবানির উদ্দেশ্য

কোরবানির মুখ্য উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জন করা। তাকওয়ার মাধ্যমেই আত্মা পরিশুদ্ধ হয়। সূরা আল-আনআম এর ১৬২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ’তায়ালা বলেন, বলো, আমার সালাত, আমার হজ ও কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ সবই বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর উদ্দেশ্যে। কোরবানি আমাদের শিক্ষা দেয় আল্লাহর প্রেমে পূর্ণ তাকওয়া নিয়ে কোরবানি করতে হবে। জিলহজ মাসের দশ, এগারো, বারো তারিখ মুসলিম বিশ্বের সর্বত্র এ কোরবানির উৎসব বা ঈদুল আজহা শুধু প্রতীকী অনুষ্ঠান মাত্র নয়। মনের গভীরে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও তাকওয়া নিয়ে প্রিয় বস্তু তাঁর নামে উৎসর্গ করাই এর উদ্দেশ্য। আল্লাহর কাছে কোরবানির পশুর গোশত ও রক্ত কিছুই পৌঁছায় না। কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহকে রাজি-খুশি করা, তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনই হলো মুখ্য উদ্দেশ্য। আল্লাহ বলেন, আমার কাছে এগুলোর গোশত ও রক্ত পৌঁছে না, পৌঁছে শুধু তোমাদের মনের তাকওয়া।

ফজিলত ও গুরুত্ব

কোরবানির দিন কোরবানি করা মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে সবচেয়ে বেশি পছন্দের। কোরবানির পশুর রক্ত ভূমিতে পতিত হওয়ার আগেই আল্লাহ’তালার দরবারে কবুল হয়ে যায়। নবী করীম (সাঃ) বলেন, কোরবানির পশুর যত পশম থাকে তার পরিবর্তে ৩৩টি পুণ্য লেখা হয়ে থাকে। হজরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত এক হাদীস থেকে জানা যায় নবী করীম (সাঃ) বলেন, কোরবানির দিন রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে প্রিয় কোনো আমল আল্লাহর কাছে নেই। কোরবানিকারী কিয়ামতের দিন জবেহকৃত পশুর লোম, শিং, ক্ষুর, পশম ইত্যাদি নিয়ে আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে। সেইসাথে কোরবানির গুরুত্ব সম্পর্কে হজরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণিত এক হাদীস থেকে জানা যায় নবী করীম (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তির সামর্থ থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়।

কোরবানির শিক্ষা

মানব জীবনে কোরবানির মূল শিক্ষা সমাজের অভাবগ্রস্তদের সহমর্মিতার প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পারস্পরিক সৌহার্দ প্রতিষ্ঠা করা। সেইসাথে আল্লাহর রাস্তায় মানুষের আপন সম্পদ উৎসর্গ করা। যিনি যত পরিমাণ সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করবেন। তিনি আল্লাহর তত নৈকট্য লাভ করবেন। কোরবানির ত্যাগ বা উৎসর্গ একটি বড় ইবাদত। কোরবানির তাৎপর্য হল আমাদের ভেতরের পশুত্ব, নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা ও বীভৎসতাকে দূর করা। অন্তরের মধ্যে বসবাসকারী পশুকে জবাই করা। এবং সেই সাথে হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা বিসর্জন দিয়ে মানবতা ও ভ্রাতৃত্বোধে উজ্জীবিত হওয়া। এটাই বান্দার কাছে পবিত্র কোরবানির মহান শিক্ষা। এতে করে আমাদের মনে আত্মশুদ্ধি আসবে। সেইসাথে অর্জিত হবে মনের তাকওয়া। আল্লাহর প্রেম শুধু কোরবানির দিনে সীমাবদ্ধ না রেখে, আজীবন অব্যাহত রাখতে হবে। সর্বক্ষণ মনে জাগ্রত রাখতে হবে কোরবানির মহান শিক্ষাকে। সেইসাথে কোরবানি শিরক থেকে মুক্ত থাকার একটি কার্যকরী মাধ্যম। ইসলাম মুসলিমদের কোরবানির বিধান দিয়ে তাওহীদ তথা একত্ববাদের বিশ্বাসকে উজ্জ্বল ও দৃঢ় করণের পাশাপাশি এই শিক্ষাও দেওয়া হয়েছে যে এসব সৃষ্টি করা হয়েছে কোরবানি করে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য। এর দ্বারা একদিকে যেমন তাওহীদের বিশ্বাস শাণিত হয়। তেমনি মানুষকে ইসলামের মহান আদর্শে উদ্বুদ্ধ করা সম্ভব। কোরবানির মাধ্যমে নিজেদের বিবেককে জাগিয়ে তোলা প্রয়োজন। আর তবেই আমাদের পৃথিবী হয়ে উঠবে সুন্দর, শান্তিময় ও নিরাপদ।

 

 

#CBALO / আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর