প্রাণ থাকলে প্রাণী হওয়া যায়, মন না থাকলে মানুষ হওয়া যায় না। কাজের সময় কাজী, কাজ ফুরাইলে পাজি। এই প্রবাতটি শুধু মানুষের জীবনেই ঘটেনি, এবার প্রাণীসম্পদ ঘোড়াটির জীবনেও একই ঘটনা ঘটেছে। এই মালিক বিহীন ঘোড়াটির মালিকও ছিল বা আছে? কিন্তু ঘোড়াটির যখন যৌলস বা শক্তি ছিল মালিককে অর্থ কামিয়ে দিয়েছে তখন মূল্য ছিল। সেই ঘোড়াটি যখন বাম পায়ে পচোন ধরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরেছে। এখন মালিক ঘোড়াকে চিকিৎসা ও খাবার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে শুধু তাই নয়, এই ঘোড়ার মালিকানা পরিচয়ও দিচ্ছে না।এখন মালিক বিহীন ঘোড়াটি রোগে- শোকে জির্ণ সির্ণ হয়ে বাম পা খুড়িয়ে খুড়িয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে প্রায় প্রতিদিন দেখা যায় উল্লাপাড়া পৌর শহরের বিশ্বরোডের কাওয়াক সরকার পাড়া হতে নবগ্রাম মসজিদ পর্যন্ত রাস্তার ধার দিয়ে খাবার খেতে দেখা যায়। কিন্তু রাত্রীতে কোথায় থাকে তা,জানা যায়নি।
গতকাল রবিবার নবগ্রামের মো, ওবায়দুল ইসলাম খান মাহবুব ভাই আমাকে মালিক বিহীন ঘোড়াটির তথ্য জানান এবং প্রাণীসম্পদ হাসপাতালের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসার আশাব্যক্ত করে বলেন জরুরি ভাবে চিকিৎসা না দিলে পায়ে যে ভাবে পচোন ধরেছ তাতে করে রোগ জীবাণু ছড়ানোর আশংকা রয়েছে। চিকিৎসা শেষে মালিক বিহীন ঘোড়াটি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে রাখার জন্য আহবান জানান।
ঘোড়াটির বিষয় উল্লাপাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের কর্মকর্তা ডা. মোর্শেদ উদ্দিন আহম্মদের সঙ্গে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন এলাকার মানুষ অসুস্থ ঘোড়াটিকে নিয়ে আসলে আমি যথাযথ ভাবে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহন করব।
#CBALO/আপন ইসলাম