নিখোঁজের চারদিন পর মঙ্গলবার সকালে জেলার উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নের নাথারকান্দি গ্রামের একটি খাল থেকে দীপ্ত মন্ডল (৮) নামের এক শিশু শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ নিহত শিশুর বাড়ির প্রতিবেশীসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।
নিহত শিশু দীপ্ত মন্ডল হারতা ইউনিয়নের কাজীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা দীপক মন্ডলের ছেলে ও স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উজিরপুর মডেল থানার ওসি মোঃ আলী আর্শাদ জানান, নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ওসি আরও জানান, শিশু দীপ্ত গত ২৭ মে দিবাগত রাত ১১টার দিকে তার নিজ বাড়ি থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় তার বাবা দীপক মন্ডল ২৮মে রাতে উজিরপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। অপরদিকে শিশু দীপ্ত নিখোঁজের চারদিন পর প্রতিবেশী রতন বিশ্বাস ও নয়ন শীলের ওপর স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে সোমবার দিবাগত রাতে স্থানীয়রা রতন ও নয়নকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা দীপ্তকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
জানা গেছে, ৩০মে (সোমবার) গভীর রাতে হারতা বাজারের ছোট ব্রীজ ত্রলাকায় নয়ন শীল পানি দিয়ে সেলুন পরিস্কারের সময় স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহ হয়। দীপ্তর স্বজন ও স্থানীয়রা নয়ন শীল ও তার ঘর মালিক রতন বিশ্বাসকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রাত চারটার দিকে তারা দীপ্তকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তাদের বক্তব্য অনুযায়ি পুলিশ আজ মঙ্গলবার সকালে খাল থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেন। লাশ পোষ্টমর্টেমের জন্য বরিশাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ ঘর মালিক রতন বিশ্বাস, তার স্ত্রী ইভা ও নয়ন শীলকে গ্রেফতার করেন।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের হাতে আটককৃত রতন ও নয়নের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী দীপ্তর বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের একটি খাল থেকে বস্তাবন্দি দীপ্তর লাশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় নিহত শিশুর প্রতিবেশী রতন বিশ্বাস, তার স্ত্রী ইভা মল্লিক এবং নয়ন শীল নামের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কি কারণে শিশু শিক্ষার্থী দীপ্ত মন্ডলকে হত্যা করা হয়েছে তার কারণ জানা যায়নি। ওসি বলেন, মামলা দায়েরের পর প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করার জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।