পাবনার ভাঙ্গুড়ায় শিক্ষকদের মারধর এবং আন্ত:বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাংচুরের ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন মাসুদ রানা ছোটন ও শাহাদাত হোসেন। দুজনই মাদারবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার খানের ক্যাডার বাহিনীর সদস্য। শনিবার রাতে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ তাদের নিজ এলাকা থেকে আটক করে। উল্লেখ্য, উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়ন আন্ত:বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান মনোয়ার খানকে দাওয়াত না করায় তার নির্দেশে এই হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে বলে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। পড়ে এ ঘটনায় ভাঙ্গুড়া থানায় মনোয়ার খান সহ ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে মারধরের শিকার প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান।
এদিকে মামলা হওয়ার খবর শুনেই রাত সাড়ে আটটার দিকে মনোয়ার খানের ক্যাডার বাহিনী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আসাদুর রহমানের লোকজনের উপর হামলা চালায়। আসাদুর রহমান মাদারবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। এসময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়। এদের মধ্যে আসাদুর রহমানের পক্ষের সরোয়ার হোসেন মারাত্মক জখম হন। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আসাদুর রহমানের ছেলে স্কুল শিক্ষক হাসিনুজ্জামান স্বপন বলেন, স্কুল শিক্ষকদের মারধরের ঘটনায় মামলা হওয়ার পরেই আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মনোয়ার খান। এখন ব্যক্তিগত আক্রোশের আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালাচ্ছে।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফয়সাল বিন আহসান বলেন, শিক্ষক মারধরের ঘটনায় পরবর্তীতে আবারও হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়। তবে পুলিশ সময়মতো উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে ওই এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এরইমধ্যে শিক্ষক মারধরের মামলায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
#CBALO/আপন ইসলাম