সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এখন পুরোদমে শুরু হয়েছে বোরো (ইরি) ধান কাটা। এলাকার কৃষকেরা হাটগুলোয় নতুন ধান বিক্রি করছে।
উল্লাপাড়া উপজেলার হাটগুলোয় গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ বছরে শুকনো নয় এমন এক মণ নতুন ধান ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে। এদিকে সরকারি খাদ্য গুদামে বোরো ধানের চাল ক্রয় সংগ্রহ শুরু হরেছে। তবে সরকারি গুডামে এখনো ধান বেচতে কোনো কৃষক আসেননি ৷
উল্লাপাড়া উপজেলার প্রায় সব এলাকাতেই মাঠে বোরো (ইরি) ধান কৃষকেরা আবাদ করেছেন। সরকারি লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে দশ হেক্টর বেশীসহ ৩০ হাজার ২শ ৪০ হেক্টর পরিমাণ জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে । কৃষকরা বেশী হারে ফলনশীল উন্নত নানা জাতের ধান আবাদ করেছেন। এবারে সব জাতের ধানের ভালো হারে ফলন মিলেছে। বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা ধান কাটার মজুরদের দাম মেটাতে হাটে নতুন এ ধান বেচছেন কৃষকেরা।
উপজেলার সলঙ্গা, বোয়ালিয়াসহ আরও কয়েকটি হাটে নতুন ধান কেনাবেচা হচ্ছে। শুক্রবার (২০ মে) কয়েকটি হাটে মোটা ধান মণ প্রতি ৯শ থেকে ৯শ ৫০ টাকা দরে কেনাবেচা হয়েছে বলে জানা গেছে। ধান গুলো পুরোপুরি শুকনো নয়। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কথায় এ ধান পুরোপুরি শুকানোর পর প্রতি মণ ১১শ টাকার কিছু বেশী হতে পারে৷কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, তিনি ধান কাটার মজুরদের দাম মেটাতে আবাদের আট মণ ধান ৯শ ৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।
ধান ব্যবসায়ী করিম বলেন, তিনি মোটা জাতের ধান সর্বোচ্চ ৯শ ৮০ টাকা মণ দরে কিনেছেন। এ ধান তার এলাকার ধান চাতালে বিক্রি করবেন।
আরেক ব্যবসায়ী মজনু মিয়া বলেন, এ হাটের ধান পাবনার মুলাডুলি, ঈশ্বরদীসহ বিভিন্ন এলাকার ধান চাতাল ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা এসে কিনে নিয়ে যায়। এবারেও তারা নিচ্ছেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ শফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, উল্লাপাড়ায় এবারের মৌসুমে চার হাজার চব্বিশ মেট্রিক টন ধান এবং তিন হাজার চারশো পাঁচ মেট্রিক টন চাউল ক্রয় সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে । সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে ৷ প্রতি কেজি ধানের দাম ২৭ টাকা। এছাড়া চাউল ক্রয় সংগ্রহে ৬৭ মিলারের সাথে চুক্তি করা হয়েছে। প্রতি কেজি চাউলের দর চল্লিশ (৪০) টাকা।
তিনি আরও জানান গত ২৮ এপ্রিল জাতীয় পর্যায়ে ধান চাউলের ক্রয় সংগ্রহ উদ্বোধন হয়েছে। উল্লাপাড়ায় সরকারি খাদ্য গুদামে কোনো কৃষক এখনো ধান নিয়ে বেচতে আসেননি । তবে চাউল ক্রয় সংগ্রহ শুরু হয়েছে বলে জানান।
#CBALO/আপন ইসলাম