মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
চাটমোহরে মানব সেবা অভিযানে গাছ বিতরণ ও অনুদান প্রদান রাণীনগরে সালিশে হাজির না হওয়ায় বাড়িতে হামলা: ভাঙচুর তালাবদ্ধ অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে প্রশংসায় ভাসছেন ইউএনও রিজু তামান্না ভূমিসেবা পেতে সরকারি খরচ ছাড়া অতিরিক্ত টাকা নিলে কঠোর ব্যবস্হা, হুশিয়ারি জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সাতক্ষীরা টিটিসিতে মানবপাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা সেশন অনুষ্ঠিত রাণীনগরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে ধ*র্ষ*ণ*চেষ্টা: অভিযুক্ত অধরা পাকুন্দিয়ায় আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত অভয়নগরে ভয়াবহ মাদকের ছড়াছড়ি, বাড়ছে চুরি ছিনতাইসহ নানামুখী অপরাধ

চাটমোহরে প্রকল্পের নামে নদীর মাটি বিক্রি করছে ইউপি সদস্য সুরুজ আলী

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: বুধবার, ৯ মার্চ, ২০২২, ৭:০৪ অপরাহ্ণ

পাবনার চাটমোহরে প্রকল্পের নামে বড়াল নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে অন্য স্থানে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য সুরুজ আলীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের চড় সেনগ্রামে। এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, ২০২১/২২ অর্থবছরে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচির আওতায় বিলচলন ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে ৩.৬ মেট্টিক টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই ওয়ার্ডের হাফুর বাড়ি হতে নবীর উদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার কাজ চলছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চড় সেনগ্রামের বড়াল নদীতে মধ্যে ২০/২২ জন শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। সেখানে ৫ টি ইঞ্জিন চালিত টলির মাধ্যমে মাটিগুলো বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউপি সদস্য সুরুজ আলী প্রকল্পের পাশে ইউসুফ আলী, বকুল হোসেন, আকাবর আলী ও শাহ আলমের কাছে এ মাটি বিক্রি করছে। তারা জানান, প্রতি গাড়ি মাটি ৫শ টাকা করে নিয়েছেন। মেম্বর আরো মাটি বিক্রয় করার জন্য পাই তারা করছে বলে ১ ২ ৩ নং ওয়াড়ের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রিনা খাতুন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন।

প্রকল্পের পিআইসি ও সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রিনা খাতুন বলেন, প্রকল্পের নামে কি এসেছে, বা আসেনি? তা আমি জানি না। সব কিছু সুরুজ মেম্বর আর চেয়ারম্যান সাহেব জানেন। তিনি আরো জানান, সুরুজ মেম্বার ও চেয়ারম্যান আমাকে কৌশলে ভয়-ভিতি দেখিয়ে প্রকল্পের কাজ তারা করছে এবং নদীর মাটি তারাই বিক্রয় করছে।

প্রকল্প ও মাটি বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সুরুজ আলী বলেন, নদীর মাটি কেটে বিক্রি এবং প্রকল্পের বিষয়ে কিছুই বলবো না। তবে আমি দোষী হলে ইউএনও সাহেব আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।

তবে এ বিষয়ে জানতে বিলচলন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতার হোসেনের মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ সৈকত ইসলাম বলেন, নদীর মাটি কাটার কোনো ভাবেই নিয়ম নেই। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

এদিকে নদী রক্ষাসহ বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে এলাকাবাসীকে বাঁচাতে দ্রুত বড়াল নদীর মাটি বেচাকেনার অবৈধ ব্যবসা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর