পাবনার চাটমোহরের বিলচলন ইউনিয়নের সেনগ্রামে রবিবার (৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে অবৈধভাবে নদীর মাটি কাটার ছবি তুলতে গিয়ে ইউপি সদস্যের দ্বারা লাঞ্ছিত হয়েছে স্থানীয় এক সাংবাদিক। লাঞ্ছিত কারি বিলচলন ইউনিয়নের সেনগ্রামের আব্দুল গনির ছেলে ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুরুজ আলী। এবং লাঞ্ছিত শিকার হয়েছেন জাতীয় দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি ও সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো বার্তা সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম আপন। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন ইউনিটের সাংবাদিকবৃন্দ।
জানা যায়, উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের সেনগ্রামের বড়াল নদীতে ২০ থেকে ২৫ জন দিনমজুর দিয়ে মাটি কেটে ইউপি সদস্য সুরুজ আলীর বাড়ির সামনের রাস্তা তৈরি করছে। আর এ রাস্তা তৈরির খরচের জন্য কাবিখার প্রকল্পের ৩ টন গম বিক্রর ৭০ হাজার টাকা ব্যয় করছে সুরুজ আলী। এ সময় নদীর মাটি কাটার ছবি ও ভিডিও ধারন করলে সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ লাঞ্চিত করে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি ও সাংবাদিকতা দেখে নেয়ার কথা বলে। এ সময় তার দুই সহোচর আক্কাছ আলীর ছেলে রিপন হোসেন ও মৃত খলিল প্রা: আজমত আলী সাংবাদিকের নিকট থেকে ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ছবি ও ভিডিও ফুটেজসহ পূর্বের গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট ডিলিট করে দেয়।
এ ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিক আপন বলেন, নদীতে মাটিকাটার তথ্য পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারন করলে ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুরুজ আলী আমাকে অকথ্য ভাষায় কথা সহ লাঞ্ছিত করে। পরে আমার নিকট থেকে ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে সকল ডকুমেন্ট ডিলিট করে দেয় এবং টাকা নিয়ে বিষয়টি চেপে যেতে বলে। এক পর্যায়ে না নিলে রিপন ও আজমত বলে টাকা নিলি না যা তোকে পরে দেখে নেব। এখন আমি আমার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
ঘটনার সত্যতা শিকার করে বিলচলন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতার হোসেন বলেন, এমন ধরনের ঘটনা আমি জানতে পেরেছি। সাংবাদিককে লাঞ্চিত করার বিষয়ে আমি ওয়ার্ড মেম্বর কে শাসিয়েছি। নদী থেকে মাটিকাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নদীর মাটিকাটার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তররের অনুমতি নেওয়া হয়নি।
#চলনবিলের আলো / আপন