পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় অধিক লাভের আশায় উৎসাহী কৃষকরা হচ্ছেন লাভবান। উপজেলার বিভিন্ন বসত বাড়ির পাশে, পতিত ও তিন ফসলি জমিতে চলতি মৌসুমে ভুট্টা চাষে ব্যাপক সফলতা এনেছে। গত বছর বাজার দাম ভালো পাওয়ায় চাষীরাও খুশি রয়েছেন।
স্থানীয় চাষিরা জানান, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকাতে ও মাঠে বছরের পর বছর পতিত থাকে। এসব পতিত জমিতে তেমন কোন ফসল চাষ করা যায়না। তবে ওই সব জমিতে ভুট্টা চাষের উজ্জ্বল সম্ভবনা থাকায় চলতি মৌসুমে তারা (চাষি) চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে পড়েন। সেই সাথে বাড়ির পাশে ফসল কম হওয়া বা পতিত জমিতে ভুট্টা চাষ করছেন অনেকেই।
উপজেলা কৃষি সম্পসারণ অফিস সুত্রে জানা যায়, আটঘরিয়া উপজেলার সব কয়টি ইউনিয়নেই চলতি মৌসুমে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে বীজ বপনের পর এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে। শেষের দিকে ভুট্টা ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূল থাকবে বলে আশাবাদী। জমিতে বালি পরে থাকা জমিতে বীজ বপনের পর থেকেই গাছ তরতর করে বেড়ে উঠতে থাকে।
জাত বেধে প্রতিটি গাছে ১-৩ টি করে ভুট্টার কলা ধরেছে। চাষীরা গড়ে প্রতি মণ (৪০ কেজি) ভুট্টা ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি করেন। এলাকার কিছু কিছু চাষি এককভাবে ৩-৫ বিঘা পর্যন্ত জমিতে ভুটা চাষ করেছেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: জাহিদুল হক জানান, গত বৎসর প্রতি হেক্টর (সাড়ে সাত বিঘা) জমিতে গড়ে ৭-৯ মেট্রিক টন ভুট্টার ফলন হয়েছে। ভুট্টা চাষ অল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায়, এ চাষে পুরুষ শ্রমিকদের পাশাপাশি নারীরাও দক্ষ হয়ে উঠায় এ কাজে তাদের কদর বাড়ছে।
আটঘরিয়া পৌর সভার বিশ্রাম পুর দুলালমৃর্ধা, শফিকুল ইসলাম, সোহের রানা, বাচ্চু সহ অনেকে কৃষক জানান, কৃষি কাজে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছি এ বছর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় ভুট্টা চাষ ও কাটা মাড়াইয়ে মোট খরচ হবে ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমি থেকে(ফলন ভাল হলে) ভুট্টা পাওয়া যাবে ৩৫-৪০ মণ পর্যন্ত। বাজার গুলোতে প্রতি মণ ভুট্টা ৭৫০-৮০০ টাকা দরে বিক্রয় হয়ে থাকে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে। সেই সাথে বাজারে দাম ও চাহিদা বেশি থাকায় এবার চাষিরা লাভবান হবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব আল মারুফ জানান, ভুট্টা চাষে আমাদের পরামর্শ ও যাবতীয় কারিগরি সহযোগিতা এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চরের চাষীদের মুখে হাসি দেখা দিবে। এবছর ২০২ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে এবং ১৫০ কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, প্রণোদনার আওতায় প্রতি কৃষককে ভুট্টা বীজ, ডিএপি,এমওপি সার দেওয়াা হয়েছে। এবছর উপজেলায় ১৬০০ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদন হওয়াার সম্ভাবনা রয়েছে।
#চলনবিলের আলো / আপন