রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৮ অপরাহ্ন

ই-পেপার

যেই উগান্ডা দেশকে আমরা ট্রল করি সেই ‘উগান্ডার প্রেসিডেন্ট’ নাকি এই করোনাকালীন বিশ্ব বাসীর উদ্দেশ্য কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: শুক্রবার, ২৬ জুন, ২০২০, ৮:৪৭ অপরাহ্ণ

অমিত হাসান হৃদয়:

ঈশ্বরের অনেক কাজ আছে । তিনি পুরো বিশ্বটা দেখাশোনা করেন । উগান্ডার গর্দভদের দেখভালের জন্য তিনি এখানে এসে বসে নেই । যুদ্ধের সময় ঘরে থাকার কথা কেউ বলে না । তবুও আমরা স্বেচ্ছায় ঘরে থাকি । এমনকি আমাদের যদি বেজমেন্ট থাকে আমরা সেখানে গিয়েও লুকাই এবং লুকিয়ে থাকি যতক্ষণ না যুদ্ধ শেষ হয় । যুদ্ধের সময় আমরা আমাদের ইচ্ছেগুলো নিয়ে বেশি মাতামাতি করি না । আমরা বাঁচার জন্য স্বেচ্ছায় ওটা ত্যাগ করতে কার্পণ্য করি না । যুদ্ধের সময় পেটের ক্ষুধা নিয়ে কোন কমপ্লেইন করি না । তখন আমরা ক্ষুধা নিয়েই বেঁচে থাকতে চাই এবং প্রার্থনা করি আবার খেতে পারার জন্য যেন পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারি । যুদ্ধের সময় ব্যবসা চালু রাখার জন্য গো ধরি না । আমরা স্বেচ্ছায় দোকান পাট ও ব্যবসা বন্ধ রাখি । আমরা প্রার্থনা করি যেন যুদ্ধ শেষে আবার সব কিছু খুলে আবার ব্যবসা করতে পারি । এখন আমরা একটি যুদ্ধকালীন সময় পার করছি । এটি এমন একটি যুদ্ধ যেই যুদ্ধে কোন বন্দুক বা গুলি নাই ।

 

নাই কোন মনুষ্য সৈন্য । যেই যুদ্ধে নাই কোন বর্ডার । যেই যুদ্ধে কোন যুদ্ধ বিরতিতে যাওয়ার কোন এগ্রিমেন্টে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই । যেই যুদ্ধে কোন অংশই যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে মুক্ত নয় । এই যুদ্ধে সৈন্যরা ক্ষমা করতে জানে না । এই সৈন্যদের কোন মমতাবোধ নাই । এই সৈন্যরা নারী কিংবা শিশু অথবা বৃদ্ধ কাউকে রেহাই দেয় না । এমনকি এই সৈন্যরা মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, চার্চ – কিছুকেই রেহাই দেয় না । এই সৈন্যদের রাজত্ব পরিবর্তন করার কোন উদ্যেশ্য নাই । এই যুদ্ধের মাধ্যমে কোন দেশের ধন সম্পদ কিংবা তেল গ্যাস লুট করাও উদ্যেশ্য না । ধর্মও এই যুদ্ধের কোন টার্গেট না । এমনকি এটা জাতিগত বা আদর্শগত কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠার যুদ্ধও না । এক সম্প্রদায়কে জিতিয়ে অন্য সম্প্রদায়কে হারানোও এই যুদ্ধের উদ্যেশ্য না । এই যুদ্ধের একমাত্র এজেন্ডা হলো মৃত্যুর চাষাবাদ করা । মৃত্যুপুরী বানানোই হলো এই যুদ্ধের একমাত্র উদ্যেশ্য । যারা এই যুদ্ধ করছে তাদের সক্ষমতা নিয়ে কোন সন্দেহ থাকা উচিত না । কোন যুদ্ধ জাহাজ, গোলন্দাজ বাহিনী, গুলি, গোলা ছাড়াই পৃথিবীর সকল কোনা কানায় পৌঁছুতে পারে । এরা যুদ্ধের কনভেনশনাল প্রটোকল মেনে চলে না । এটাই হলো ‘করোনা ভাইরাস’ ।

 

এর আরেক নাম হলো ‘COVID-19’ ! সৌভাগ্যবশত, এই সৈন্যদের একটা দুর্বলতা আছে এবং তার উপর ভর করে একে পরাজিত করা সম্ভব । এর জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত পদক্ষেপ, শৃঙ্খলা আর ধৈর্য । মানুষ যদি মানুষের থেকে একটু দূরত্ব বজায় রেখে শৃঙ্খলা মেনে চলে তবে এই ‘COVID-19’ টিকতে পারেনা । It only thrives when you confront it. It loves to be confronted. It capitulates in the face of collective social and physical distancing. মানুষের ব্যক্তিগত হাইজিনের কাছে এরা হেরে যায় । এরা অসহায় হয়ে যায় – যদি আমরা আমাদের ভাগ্যকে আমাদের হাতের মুঠোয় নিয়ে নেই । আমরা যদি আমাদের হাত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখি ” ।।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর