ব্যাংকাররা বললেন, এটি পালন করা হলে ব্যাংক খাতে তৈরি হবে অস্থিরতা। চাকরিপ্রার্থীরা এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, বেসরকারি ব্যাংকের চাকরির জন্য দরখাস্ত করলে বেতন বলা হয় ২০ হাজার টাকা। এই বেতন লজ্জাজনক।
ব্যাংকে ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। হঠাৎ করে নেয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন সিদ্ধান্ত কতটা গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে হচ্ছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। ব্যাংকের অফিস সহায়কদেরও (সাপোর্ট স্টাফ) বেতন ঠিক করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংক নির্বাহীদের প্রশ্ন, ‘কলমের এক খোঁচায়’ বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অগ্রহণযোগ্য। তবে ন্যূনতম বেতন নিয়ে খুশি চাকরিপ্রার্থীরা।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আকস্মিকভাবে তিনটি পদে ন্যূনতম বেতন ঠিক করে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সেখানে বলা হয়, অফিস সহায়কদের সর্বনিম্ন বেতন হবে ২৪ হাজার টাকা, শিক্ষানবিশ অবস্থায় ন্যূনতম বেতন হবে ২৮ হাজার টাকা এবং চাকরি স্থায়ী হলে বেতন দিতে হবে ৩৯ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেতন বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। এতে করে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বেতনবৈষম্য কমবে।’
এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ব্যাংকাররা। বলেন, এটি পরিপালন হলে ব্যাংক খাতে তৈরি হবে অস্থিরতা।
ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, ‘ব্যাংক খাতে ঝাড়ু দিলেই ২৪ হাজার টাকা দিতে হবে, যেখানে গার্মেন্ট খাতে ঝাড়ু দিলে ৮ হাজার টাকা। অন্য খাতের সঙ্গে এত পার্থক্য কেন? এ ধরনের নীতিমালা কেন্দ্রীয় ব্যাংক জারি করার অধিকার রাখে না।’
এ ব্যাপারে এখনই মন্তব্য দেয়নি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)। সংগঠনের সভাপতি সেলিম আর এফ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা সময়ের ব্যাপার। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনাটি পর্যালোচনা করছি। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পরবর্তী মতামত জানাব। এ জন্য কয়েক দিন সময় লাগবে।’
চাকরিপ্রার্থী অনেকেই বেতন বৃদ্ধির এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তারা বলছেন, বেসরকারি ব্যাংকের চাকরির জন্য দরখাস্ত করলে বেতন বলা হয় ২০ হাজার টাকা। এই বেতন লজ্জাজনক।
ছুটির দিন থাকায় বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
#চলনবিলের আলো/আপন