বরিশালের আগৈলঝাড়ায় চিকিৎসাসেবা নিতে যাওয়া ভুক্তভোগী রোগী ও জনগনের দাবির মুখে লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ডায়াগনিস্টিক সেন্টার ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির অপরাধে একটি ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার ও একটি ডেন্টাল ক্লিনিকের মালিককে সোমবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। তবে প্রশাসনের এই ভাল কাজকে প্রচার থেকে বিরত রাখতে কৌশল হিসেবে সাংবাদিকদের কোন তথ্য প্রাদান করা হয়নি। উপজেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলেও দেয়া হয়নি কোন তথ্য বা ছবি। এ কারনে সচেতন মহলের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তাহলে কি প্রশাসন অবৈধ ব্যবসার পৃষ্ঠপোষকতা করছেন? তা না হলে কেন সাংবাদিকদের তথ্য দেয়নি প্রশাসন।
স্থানীয় ও বিস্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে থানা পুলিশের সহায়তায় উপজেলার পয়সারহাট বন্দরে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) নেহের নিগার তনু। অভিযানে লাইসেন্স বিহীন অবৈধভাবে পরিচালনা করা জনসেবা ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার ও মেয়াদোত্তীর্ণ অষুধ ফ্রিজে রাখা ও বিক্রির অপরাধে এর মালিক মশিউর রহমানকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করেন আদারত। পরে একই বাজারে স্মাইল ডেন্টাল ক্লিনিক লাইসেন্স না থাকায় প্রতিষ্ঠানের মালিক মিলন হালদারকে ১৫ হাজারসহ মোট দুটি অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. রাজু বিশ্বাস, উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর সুকলাল সিকদারসহ পুলিশ সদস্যরা।
অভিযানে বিষয়টি গোপন রাখার ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল হাশেম এর দৃস্টি আকর্ষণ করা হয়ে তিনি বলেন -এটা ঠিক করা হয়নি। পরবর্তিতে আর এমন হবে না বলেও জানান তিনি।