সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০২ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

গুরুদাসপুরে ৩৮ দিনে ৮ হাজার ৯৭ জনকে ঠান্ডাজনিত চিকিৎসা

মো. আখলাকুজ্জামান, গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: রবিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২২, ৫:৫২ অপরাহ্ণ

নাটোরের গুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠাণ্ডাজনিত রোগী বেড়েই চলেছে। গত ৩৮ দিনে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন ৮ হাজার ৯৭ জন রোগী। এর মধ্যে মারা গেছেন ৯ জন। বাকিরা পর্যায়ক্রমে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরছেন। তবে গত আট দিনে ৫৪ জন রোগী ডায়রিয়াসহ শীতকালীন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আন্তঃবিভাগ জানায়, ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ৫৪ জন রোগী ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এরমধ্যে বৃহ¯পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এসব রোগীর মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সি ৩০ শিশু রয়েছে। বাকি ২৪ জন বিভিন্ন বয়সের। তবে গত আট দিনে ৫৪ জনের মধ্যে একজন রোগী মারা গেছেন। হাসপাতালের পরিসংখ্যান মতে, গত ডিসেম্বর মাসে হাসপাতালের বহির্বিভাগে ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬ হাজার ৪৩৯ জন রোগী। এর মধ্যে বিভিন্ন বয়সের নারী রয়েছেন ৩ হাজার ৭৬৭ জন রোগীসহ পুরুষ ১ হাজার ২১৯ এবং শিশু রয়েছে ১ হাজার ৪৫৭ জন। এছাড়া নারী-শিশু ও পুরুষসহ মোট ১৬৬ জন রোগী ডিসেম্বরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি থাকা ১৬৬ জনের প্রত্যেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। এর মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছরের নিচের শিশু ছিল ৮৯ জন। এদিকে ডিসেম্বরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৭৭ জন রোগী। এর মধ্যে ১৬৭ জন নারী ও পুরুষ রোগী ছিলেন ৪১০ জন।

হাসপাতালের সেবিকা ফিরোজা আক্তার জানান, ১ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারী শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ৫৪ জন রোগী ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি হওয়া এসব রোগীর প্রত্যেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি বলেন, নিউমোনিয়া, জ্বর-সর্দি এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বেশির ভাগ রোগী হাসপাতালে আসছেন। সাড়ে চার মাস বয়সি শিশু আরিফাকে নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকা আসমা বেগম জানান, তার শিশুটি গত মঙ্গলবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। শুক্রবার রাতে তারা শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। চিকিৎসকরা নিয়মিত চিকিৎসা দিলেও শিশুটির অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ হচ্ছে।

গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, শীতকালে ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ দেখা দেয়। ডিসেম্বরের চেয়ে চলতি মাসে ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিয়ে বেশি রোগী হাসপাতালে আসছেন। বিশেষ করে শিশুরা এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর