খাগড়াছড়ির রামগড়ে বলিপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরিক্ষায় ফাঁসকৃত প্রশ্নে পরীক্ষা গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগের ভিত্তিতে বিদ্যালয়টির ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সবকটি পরিক্ষা বাতিল করেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।অভিযোগ রয়েছে অসাধু কিছু শিক্ষক পরীক্ষার আগেই তাদের কাছে প্রাইভেট পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের হাতে প্রশ্ন তোলে দেয়।
জানা গেছে,গত ২৪নভেম্বর বুধবার থেকে বিদ্যালয়টির বার্ষিক পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শুরুর পর থেকে প্রশ্ন পত্র ফাঁস করে আসছে একটি চক্র।অভিযোগ রয়েছে বিদ্যালয়টির কিছু অসাধু শিক্ষক প্রাইভেট পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ২দিন পূর্বে প্রশ্ন হাতে তোলে দেয়।প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে মাথা পিছু ৪০টাকা করে সে প্রশ্ন বিক্রি করা হয়েছে।গত বুধবার ইংরেজী পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়।আজ শনিবার সে প্রশ্নেই পরীক্ষা গ্রহণ করছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা। এরআগে বাংলা প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়ে যায়।
৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর অভিভাবক আতাউল্লাহ বলেন,এমন করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আমরা হতাশ। প্রশ্ন ফাঁস করে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ধংস করার পায়তারা করছেন। অসৎ ও লোভী শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থী ধরে রাখার জন্য এই জঘণ্য কাজ করছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা বেগম জানান, বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরীর দায়িত্ব বিদ্যালয়ের বিভাগীয় শিক্ষকদের ।তিনজন শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ান। শিক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দিতে অসুদুপায় অবলম্বন করেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবু কাউছার জানান, অভিযোগ পেয়ে তদন্তে গেলে বিষয়টি প্রমানিত হওয়াতে বিদ্যালয়টির সব পরিক্ষা বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে পরীক্ষা গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একি সাথে অভিযুক্ত শিক্ষকদের ১দিনের মাঝে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) উম্মে হাবিবা মজুমদার জানান,বিষয়টি তিনি জেনেছেন।তদন্তের মাধ্যমে দোষীকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব ত্রিপুরা জানান, এভাবে প্রশ্ন পত্র ফাঁস করা জাতির জন্য ক্ষতিকর।বিষয়টি জেনেই সুস্থ্য তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
#চলনবিলের আলো / আপন