সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

টিউমার কি? কত প্রকার কি কি এবং হোমিওপ্যাথিক মতে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা

ডা.এম.এ.মান্নানঃ
আপডেট সময়: রবিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২১, ৭:৫৭ অপরাহ্ণ
ডা.এম.এ.মান্নান

টিউমার কিঃ
দেহ কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিকেই টিউমার বলা হয়। বিস্তারিতভাবে যদি বলি তাহলে বলা যায়, শরীরের যেকোন স্থানের (মাথা, হাত, বুক, পিঠ ইত্যাদি) কোষসমুহ যদি ধীরে ধীরে বা দ্রুততার সাথে অস্বাভাবিক (সাধারণত গোল আকৃতির) ও অসামঞ্জস্যভাবে বেড়ে ওঠে তাকে টিউমার বলা হয়।
টিউমারের প্রকারভেদঃ
টিউমারকে আমরা সাধারণত তিনভাগে ভাগ করতে পারি-
(১) হিস্টোমা বা কানেকটিভ টিস্যু টিউমার,
(২) সাইটোমা এবং
(৩) টেরাটোমা বা মিক্সড সেল টিউমার।
হিস্টোমা টিউমার আবার দু’প্রকার। যথাঃ (১) বিনাইন ও (২) মালিগন্যান্ট
বিনাইন টিউমারঃ
এই টিউমারগুলো সাধারণত তুলতুলে ও নরম আকৃতির হয়। খুব একটা শক্ত হয় না। এর বৃদ্ধি ঘটে খুব আস্তে-ধীরে। উপরে কোনো বিশেষ আবরণ থাকে না। এই টিউমারের উপরের চামড়া আলাদা বা পৃথক মনে হয়। টিউমারের পার্শ্বে অবস্থিত গ্রন্থিসমুহ আক্রান্ত হয় না। এই টিউমারে আঘাত করলে বা কিংবা চাপ প্রয়োগ করলে কোনো যন্ত্রণা অনুভূত হয় না।
ম্যালিগন্যান্ট টিউমারঃ
এই টিউমার নিরেট আকৃতির বা শক্ত হয়। খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে। এই টিউমারের আবরণ থাকে। এটার উপরের চামড়াআলাদা মনে হয় না। এই টিউমার সংলগ্ন গ্রন্থিসমুহ আক্রান্ত হয়। টিউমারটিতে চাপ দিলে যন্ত্রণা অনুভূত হয়। এই টিউমারে আঘাত করলে কিংবা অপারেশন করা হলে ক্ষতি হয়। অপারেশন করলে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে প্রায়ই ক্যান্সার হতে দেখা যায়।
শরীরের একেক স্থানের টিউমার যে নামে পরিচিতঃ
১। নাক, জরায়ু প্রভৃতি শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির টিউমারের নাম প্যাপিলোমা।
২। জরায়ু ও পাকস্থলী প্রভৃতি স্থানের মাংস পেশির টিউমারের নাম মাইওমা।
৩। চর্মের উপরে যে টিউমার হয় তার নাম এপিথেলিওমা।
৪। পিঠ, কাঁধ প্রভৃতি স্থানে ফ্যাটি টিস্যু টিউমারের নাম লিপোমা।
৫। হাড়ের কার্টিলেজ এর টিউমারের নাম কনড্রমা।
৬। মাথার খুলি, মুখ-মণ্ডল ও নাসিকা গহ্বর প্রভৃতি স্থানে হাড়ের অস্থি টিউমারের নাম অস্টিওমা।
৭। মস্তিষ্ক কোষের টিউমারের নাম গ্লাইওমা।
৮। মস্তিষ্ক, লিভার প্রভৃতি স্থানের লসিকা নালীর টিউমারের নাম লিমফ্যানজিওমা। সাধারণত কম বয়সে সার্কোমা টিউমার দেখা দেয়। সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পরে কার্সিনোমা টিউমার দেখা দেয়।
হোমিওপ্যাথিক মতে ট্রিটমেন্টঃ
দক্ষ রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের অধিনে  লক্ষন ভিত্তিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিলে টিউমার খুব অল্প সময়ে আল্লাহ রহমতে আরোগ্য করা সম্ভব।কিছু কিছু টিউমার আছে সার্জারীর সহযোগিতা নিতে হবে।
লেখকঃ
ডা.এম.এ.মান্নান
ম্যানেজিং ডিরেক্টর(এমডি) ও
প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা
মুকতাদির হোমিও চিকিৎসা কেন্দ্র
নাগরপুর, টাংগাইল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর