সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ অপরাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
ভাঙ্গুড়ায় রাতের আঁধারে গাছ কেটে ফেলল দুর্বৃত্তরা অভয়নগরে সৌন্দর্য বিলাচ্ছে মাঠভরা হলুদ, সরিষার ব্যাপক ফলনের সম্ভাবনা; কৃষকের মুখে হাসি সড়কের ব্রিজ ভেঙ্গে মরণফাঁদ চরম  দুর্ভোগে পথচারীরা বাগেরহাটে উন্নত পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ ও ব্যবস্থাপনা শীর্ষক কর্মশালা উদ্ভোধন সাতক্ষীরায় সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলায় ৪ দিন অতিবাহিত,আটক হয়নি সন্ত্রাসী রমজান বাহিনীর প্রধান দৌলতপুরে বিজয় দিবস উপলক্ষে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন  অভয়নগরে সাবেক চেয়ারম্যান কামাল গ্রেফতার “ইউনিলিভার বাংলাদেশ ও কেওক্রাডং বাংলাদেশ এর উদ্যোগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে হলো ‘কোস্টাল ক্লিনআপ’”

বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে বেশী দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে আগৈলঝাড়ায় ১৬০ মন্ডপে দেবী দূর্গার প্রতীমা নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে, ব্যস্ত মৃৎ শিল্পীরা

রুবিনা আজাদ, আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল:
আপডেট সময়: বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৬:০৩ অপরাহ্ণ

শরতের আগমনে কাশ ফুলের শুভ্রতার শীষ দোলা আর একটু একটু শিশির বিন্দু জানান দিয়ে দুয়ারে কড়া নাড়ছে জাতিসংঘের ইউনেস্কো স্বিকৃত বাঙালীর বৃহত উৎসব ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পুজা।

সকল জাতি ধর্মের অ-সাম্প্রদায়িক চেতনার উর্বর ভূমি বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সকলের অপূর্ব মিলন মেলায় অনুষ্ঠিত হবে পাঁচ দিনের দূর্গোৎসব। দূর্গোৎসবের প্রধান উপকরণ ও মন্ডপে মন্ডপে অন্যতম আকর্ষণ দেবী দূর্গার প্রতিমা। উপজেলায় ১৬০টি মন্ডপে নিপুন মৈলীর মধ্য দিয়ে দেবীর প্রতীমা নির্মাণে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন পাল পাড়ার মৃৎ শিল্পীরা।

করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছর কেন্দ্রীয় পুজা উদযাপন পরিষদের ২৬ দফা শর্ত সাপেক্ষ গণ জমায়েত ব্যতীত অনাড়ম্বরভাবে পুজার আচার অনুষ্টান পালনের নির্দেশনা থাকলেও এভচর এখনো এমন কোন নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। তারপরেও অন্যান্য বছরের মতো এবছরও বরিশাল বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশী পুজা মন্ডপে প্রতীমা নির্মানের কাজ চলছে আগৈলঝাড়া উপজেলায়।

আগৈলঝাড়া উপজেলা কেন্দ্রীয় পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান বিপুল দাস জানান এ বছর উপজেলায় মোট ১শ ৬০টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পুজার প্রস্তুতি চরছে।

উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের হিসেব মতে, রাজিহার ইউনিয়নে ৪৭টি, বাকাল ইউনিয়নে ৩৯টি, বাগধা ইউনিয়নে ২৪টি, গৈলা ইউনিয়নে ২৬টি ও রতœপুর ইউনিয়নে ২৪টি পুজা মন্ডপসহ সর্বমোট ১৫৮টি মন্ডপ ও তাতে প্রতীমা নির্মাণের কাজ চলছে। গত বছরের চেয়ে বাগধা ও গৈলা ইউনিয়নে এবছর ২টি পুজা মন্ডপ বেড়েছে।

প্রতীমা তৈরীর মৃৎ শিল্পী উপজেলার পাল পাড়ার বাসিন্দা শিব শংকর পাল, সুদেব পাল, জয়দেব পাল, জয়দেব পালের ছেলে সঞ্জয় পালসহ মৃৎ শিল্পীরা জানিয়েছেন,

গতবছর গুলোর মতো এ বছরও প্রতিমার আকার আয়তন ঠিক রেখেই প্রতীমা নির্মান করে আসছেন তারা। অন্যন্য বছরের মতো এবছরও সকল পুজা মন্ডপে প্রতীমা নির্মান করতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা। প্রতীমা নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ করেছেন জানিয়ে পুজার দুই সপ্তাহ আগে থেকে রং তুলির কাজ শেষ করবেন বলে জানান তারা।

তবে গণজমায়েত ঘটানোর মাধ্যমগুলো বিশেষ করে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ি, লাইটিং, মিউজিক ম্যান ও শিল্পীরা আগাম বায়না না পেয়ে অলস সময় কাটাচ্ছেন। অন্যান্য বছর যেখানে তাদের আর্থিক সা”চ্ছন্দে কাজের ফুসরত থাকতো না, এবছর তার বিপরীত চিত্রে চরম আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে ঘরে বসে সময় কাটাতে হচ্ছে উল্লেখিত শিল্পী ও ব্যবসায়িদের।

পঞ্জিকা মতে, ৬অক্টোবর মহালয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মর্তলোকে দেবীর আগমণী বার্তা বেঁজে উঠেছে।
পঞ্জিকা মতে, ১১অক্টোবর সোমবার ষষ্ঠী পুজার মধ্য দিয়ে দেবীর দূর্গার নবপত্র কল্পারম্ভ, ওইদিন মন্ডপে মন্ডপে বেঁজে উঠবে ঢাক-ঢোল আর কাঁসরের বাজনার শব্দ। ১২অক্টোবর মঙ্গলবার মহাসপ্তমী পূজা, ১৩অক্টোবর বুধবার দেবীর মহাঅষ্টমী পুজা, ১৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মহানবমী পুজা ও ১৫ অক্টোবর শুক্রবার দশমী বিহিত পুজা বিহীত সমাপনান্তে দেবী বিসর্জণের মদ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে দশহরার। সমাপ্ত হবে পাঁচ দিন ব্যাপি শারদীয় দূর্গা পুজার।

থানা অফিসার ইন চার্জ মো. গোলাম ছরোয়ার জানান, দূর্গা পুজা সনাতন ধম্বাবলম্বিদের অন্যতম উৎসব হলেও অ-সা¤প্রদায়িক উপজেলা হিসেবে পরিচিত আগৈলঝাড়ায়য় সবার স¤প্রীতির বন্ধনে পুজা অনুষ্ঠিত হবার ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মানানোর বাস্তবায়নসহ পুজা শুরু থেকে প্রতীমা বিসর্জণ পর্যন্ত মন্ডপগুলোতে নিরাপত্তার জন্য গুরুত্ব বিবেচনা করে তিন ভাগে ভাগ করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। সরকারী নির্দেশনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি প্রত্যেক পুজা মন্ডপের জন্য তাদের নিজস্ব কমিটি গঠনের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হবে। মন্ডপে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দলের সাথে আইন-শৃংখলা রক্ষায় পুলিশ, গ্রাম পুলিশ সদস্য, পুরুষ-মহিলা আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরার আওতায় রেখে বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর সাদা পোশাকধারী সদস্যরা মোবাইল টিমে কাজ করবেন।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর