ময়মনসিংহের নান্দাইলে নূরুল ইসলাম মাস্টার (৬৫)নামে এক স্কুল শিক্ষক কর্তৃক আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আচারগাঁও ইউপির সিংদই গ্রামে।অভিযুক্ত শিক্ষক গ্রামের মৃত সহা মিয়ার পুত্র।
ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাবা জানান,আমি একজন রিকশা চালক গাজীপুরে থাকি। আমার স্ত্রী পরিবার পরিজন নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকে।গতকাল আমি বাড়িত এসে জানতে পেরেছি গত ৮ দিন আমি আমার প্রতিবেশী চাচা নুরুল ইসলাম মাষ্টার তার বাড়িতে ঘরের দরজা লাগিয়ে আমার মেয়ের এই সর্বনাশ করেছে। আমার মেয়েটি এখন ঘন্টায় বিশবার প্রস্রাব করতে যায় । খেতে পারে না ঠিকমত হাঁটতে পারে না।
আমি গতকাল পান করার জন্য মেয়েকে পানি দিতে বললে, মেয়ের মা আমাকে বলে মেয়ে পানি দিতে পারবেনা সমস্যা আছে। কি সমস্যা আছে জানতে চাইলে আমার স্ত্রী আমাকে বিস্তারিত জানায়, তখন আমি আমার বাড়ির সবাইকে ঘটনা সম্পর্কে অবগত করি। এমনকি মাষ্টারের বাড়িতে তাদের সকলকে ঘটনা সম্পর্কে অবগত করি। তারা বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেয়নি।
বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে , গতরাতে মাষ্টারের চাচাতো হারিছ,ভাতিজা আমিনুল, সাবেক মেম্বার আঃ রশিদ তারা আমাকে প্রথমে ৩ হাজার পরে ৫ হাজার টাকা নিয়ে চুপ থাকতে বলে। কিন্তু আমি মিমাংসা হইনি। আজ সকালের দিকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে বিস্তারিত জেনে কর্তব্যরত চিকিৎসক নান্দাইল থানায় অবহিত করে।
এরপর দীর্ঘ সময় থানায় মেয়েকে জিজ্ঞেসাবাদ করে। রাত সারে নয়টার দিকে পুলিশ সুচিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আঃ কাইয়ুম জানান আমি ঢাকা ছিলাম এলাকায় এসে লোকমুখে ঘটনা শুনেছি।
এবিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান জানান,ভিকটিমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, আসামী গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
#চলনবিলের আলো / আপন