পাবনার সাঁথিয়ায় গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম রোববার বেলা ৩টায় এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আলমগীর হোসেনের বাড়ি উপজেলার বাউশগাড়ি গ্রামে। রায় শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত আলমগীর ২০০৬ সালে জেলার ফরিদপুর উপজেলার শাকপালা গ্রামের তাজরিন খাতুনকে বিয়ে করেন। ১০ বছরের বিবাহিত জীবনে তাদের একটি মেয়ে ও একটি ছেলেসন্তান আছে। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু উপস্থিত ছিলেন।
২০১৬ সালে আলমগীর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সন্তানদের কথা ভেবে সংসার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন তাজরিন। এর মধ্যে তাজরিনের পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন আলমগীর। যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই বছর ১৭ সেপ্টেম্বর স্ত্রীকে শ্বাসরোধে ও কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় ১৮ সেপ্টেম্বর নিহতের ছোট ভাই সবুজ হোসেন ৮ জনকে আসামি করে সাঁথিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে রোববার দুপুরে আলমগীরকে মৃত্যুদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ এবং অন্য আসামিদের খালাস দেয়।
সরকারপক্ষের আইনজীবী শিশু ও নারী নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে পিপি খন্দকার আব্দুর রকিব এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রায়ের সময় আলমগীর আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
#চলনবিলের আলো / আপন