ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সার দখলে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর শহর। অবৈধ যানবাহন চালকদের দাপটে দিনরাত লেগেই থাকে যানজট। ফলে নাগরিকদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ । ব্যাটারি চালিত অবৈধ রিক্সা গুলো শহরে যানজটের অন্যতম কারণ। এছাড়াও অদক্ষ চালকদের বেপরোয়া চলাচল আর যত্রতত্র পার্কিং এর কারনে ঘটছে ছোট খাটো দুর্ঘটনা। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারী,ক্রেতা- বিক্রেতা সহ প্রয়োজনীয় কাজে আসা সাধারন জনগনের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলো ছাড়াও অলি গলিতে ব্যাটারী চালিত রিক্সার ছড়াছড়ি। আবার রিক্সাগুলোতে লাগানো অবৈধ এলইডি লাইট রাতের বেলায় পথচারীদের চরম বিড়ম্বনা এবং উচ্চমাত্রার হাইড্রোলিক হর্ণের কারনে হচ্ছে শব্দ দুষন। উচ্চ শব্দের কারনে বাসাবাড়ির শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী সহ সাধারন মানুষও অস্বস্থিতে ভুগছেন।শুধু তাই নয়, অটোরিক্সা চার্জের কারনেও ঘাটতি হচ্ছে প্রচর বিদ্যুতের। ফলে লোড শেডিং আরও বেড়েই চলেছে। এ সব যানবাহনের কারনে বিসিক মোড়,দিলরুবা বাস স্ট্যান্ড,পৌরসভা রোড,কাপড় হাট সহ পৌরশহর জুড়েই সৃষ্টি হচ্ছে চরম যানজট।
অবৈধ অটো রিক্সার ছড়াছড়ি এখন শাহজাদপুর শহরের অলিগলি।কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আর সঠিক তত্বাবধানের অভাবে শহরে অটোরিক্সা আগের চেয়ে কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে এ সব যানবাহন অহরহ চলাচল করলেও মাথা ব্যথা নেই বলে দাবী করেন সচেতন মহল। কয়েকটি রিক্সা স্ট্যান্ডে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক রিক্সা চালক জানায়,শহরে বর্তমানে ৫-৬ হাজার ব্যাটারী চালিত রিক্সা চলাচল করছে। তবে পৌরসভার অফিস সুত্রে জানা যায়,২ বছর আগে ২ হাজার অটোরিক্সার লাইসেন্স দেয়া আছে। করোনা কালীন বছরে হয়ত আড়াই হাজার হতে পারে।
#চলনবিলের আলো / আপন